নওগাঁ আত্রাইয়ে বিস্তীর্ণ মাঠে সবুজ-হলুদের সমারোহ। রোদ আর হিমেল বাতাসে উপজেলার মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে ধানের শীষ। কৃষি বিভাগ বলছে, উপজেলার মাঠে ৫০ শতাংশ ধান সবুজ বর্ণ থেকে হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। আর কদিন মধ্যেই কৃষকেরা মাঠের ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন। তাই বোরো ধানের বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন আত্রাইয়ের কৃষকেরা।
উপজেলার মনিয়ারী,হাটকালুপাড়া,বিশাসহ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে মাঠে বিভিন্ন জাতের ধান চাষ হয়েছে। তার মধ্যে ব্রি-৯০ জাতের ধানের চারা কৃষকেরা এ বছর বেশি আবাদ করছে বলে জানায় উপজেলা কৃষি বিভাগ।
মনিয়ারী ইউনিয়নের মনিয়ারী গ্রামের কৃষক সেকেন্দার বলেন, “আমাদের মাঠের অধিকাংশ ধান পাকতে শুরু করেছে। এ ধান দেখে ফলন ভালো হবে বলে আমার মনে হচ্ছে। আর কয়েকদিন যদি ভালো রোদ হয় তাহলে আমরা ফসল ঘরে তুলতে পাড়বো।”
বিশা ইউনিয়নের ভাঙ্গাজাঙ্গাল গ্রামের কৃষক জামাল হোসেন বলেন, “আমাদের মাঠ অন্যান্য মাঠের চেয়ে একটু নিচু। তাই আমরা সবার আগে ধান লাগাই, আবার আগেই ধান কাটি। আমাদের মাঠের ধান আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কাটা শুরু হবে।”
পাঁচুপুর ইউনিয়নের মেল্লাপাড়া গ্রামের কয়েকজন কৃষক বলেন, “আমরা জমি থেকে আলু তুলে তারপর ব্রি-২৯ জাতের ধান লাগাইছি। আমাদের ধানে এখন শীষ বের হয়েছে। আশা করছি এ বছর আমরা ভালো ফলন পাবো।”
হাটকালুপাড়া ইউনিয়নের বান্দাইখাড়া গ্রামের কৃষক ভবেশ পাল বলেন, “আমি এ বছর ১২ বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের ধান লাগিয়েছি। আমার ধান অনেক ভালো হয়েছে। বিঘা প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ মন করে ধান পাব বলে আশা করছি।”
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে ধানে কোনো রোগবালাই হয়নি। উপজেলার সকল ইউনিয়নে ধান পাকতে শুরু করেছে। তার মধ্যে মনিয়ারী ইউনিয়নের মাঠের ধান সবার আগে কাটা শুরু হবে। চলতি বছরে উপজেলায় বোরো ধানের মধ্যে হিরা-২, ব্যাবিলন-২, ব্রি-৯০, ব্রি-২৮, ব্রি-২৯ জিরাসহ আরও অনেক জাতের ধানের আবাদ হয়েছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় মোট ১৮ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাপস কুমার রায় বলন, উপজেলার সকল মাঠে ধান পাকতে শুরু করেছে। এবার বড় ধরনের ঝড় বা শিলা বৃষ্টি না হলে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়াও কৃষি অফিস থেকে সার্বক্ষণিক কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।