কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, মহিলা কলেজের সভাপতি পদ থেকে আ.লীগ নেতা বহিষ্কার

ঢাকার তুরাগে অস্ত্রের মুখে কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণে অভিযুক্ত টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরকে কলেজ সভাপতির পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। তিনি ভূঞাপুর উপজেলার লোকমান ফকির মহিলা ডিগ্রি কজেলের সভাপতি হিসেবে সম্প্রতি দায়িত্ব পেয়েছিলেন।

এছাড়াও বড় মনির টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা বাস কোচ মিনি বাস মালিক সমিতির মহাসচিব।

সোমবার (১ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরকে কলেজের সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কারের বিষয়টি জানিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপর বিকেলে ভূঞাপুর লোকমান ফকির মহিলা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোলাম রব্বানী রতন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরের জায়গায় ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জাহিদুর রহমানকে সাময়িক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক আতাউর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানানো হয়।

এর আগে আরেকটি ধর্ষণ মামলা থাকার মধ্যেই বড় মনিরের ছোট ভাই টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের অনুরোধে সম্প্রতি লোকমান ফকির মহিলা কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

কলেজের সভাপতি হিসেবে নিয়োগের দুই সপ্তাহ পর গত ২৯ মার্চ তুরাগ থানার প্রিয়াঙ্কা সিটি আবাসিক এলাকায় বড় মনিরের ফ্ল্যাট থেকে এক কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। তাকে অস্ত্রের মুখে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয় বলে মামলায় বড় মনিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ওই কলেজছাত্রী।

এদিকে ওইদিন রাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর থেকে আসা একটি ফোন কলের সূত্র ধরে বড় মনিরের ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে রাতেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান বড় মনির। পরে তার বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা করা হয়।

এ অভিযোগের বিষয়ে গোলাম কিবরিয়া ওরয়ে বড় মনিরের মোবাইলে একাধিকার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

বড় মনির টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ছোট মনিরের বড় ভাই। তার অনুরোধে ভূঞাপুর লোকমান ফকির মহিলা কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি পদে দেওয়া হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান।