নিস্তেজ শরীর, সর্বাঙ্গে ব্যথা। কথা বলার মতো শক্তিও নেই। পাশেই বসে চিন্তিত স্ত্রী নিশ্চুপ। বাঁশ ঝাড় নিয়ে বিবাদে প্রতিপক্ষের মারধরের শিকার হয়ে এভাবেই হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন এক যুবক। অপর দিকে একই ঘটনায় তার মাও চিকিৎসাধীন।
রবিবার (৮ আগস্ট) জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গিয়ে এমনটিই দেখা যায়। ছেলে গৌতম চন্দ্র মহন্ত চিকিৎসা নিচ্ছেন ১ নম্বর ওয়ার্ডে, আর মা মাধবী রানী মহন্ত ৪ নম্বর ওয়ার্ডে। এ ঘটনায় অপর পক্ষের সুব্রত মহন্ত আহত অবস্থায় ক্ষেতলাল হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
জানা যায়, কালাই উপজেলার মাত্রাই কুসুমসাড়া গ্রামে হরিদাস চন্দ্র মহন্ত পারিবারিক ও জমা-জমির বিষয় নিয়ে তার চাচাতো ভাই সুকুমার চন্দ্র মহন্তের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার (৭ আগস্ট) সকাল ৮টায় সুকুমার মহন্ত বাঁশ ঝাড়ে বাঁশ কাটছিলেন। এ সময় হরিদাসের পরিবার তাতে বাধা দিলে গৌতম ও মাধবীকে সুকুমারের পরিবারের লোকজন মারধর করে। এতে তারা আহত হলে ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসক জয়পুরহাট হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হরিদাস চন্দ্র বলেন, “জোর করে সম্পত্তির মালিকানা দাবী করে। আমার বাঁশঝাড়ে সুকুমার বাঁশ কাটতে এলে আমার পরিবার বাধা দিলে স্ত্রী ও সন্তানকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে।
এদিকে সুকুমার চন্দ্র জানান, “জায়গা অনেকদিন আগেই ভাগাভাগি করা হয়েছে। বাঁশঝাড় আমার মধ্যে থাকায় বাঁশ কাটতে গিয়েছি। বাঁশ কাটতে গেলে আমার ছেলেকেই মারধর করে।”
মাত্রাই ইউপি সদস্য আব্দুল হান্নান জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটনার সূত্রপাত। সম্পত্তি নিয়ে খুব দ্রুত স্থায়ীভাবে তাদের পরিবারে সমাধান না হলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের সংঘর্ষ হতে পারে।
কালাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।





































