• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ফরিদপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪, ০৭:৫৯ পিএম
ফরিদপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হাইওয়ে এক্সপ্রেসওয়ের ওপর দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের তারাইল হাজী ইরফান উদ্দিন পেট্রল পাম্পের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষ চলাকালে হাইওয়ে এক্সপ্রেসওয়ে সড়ক আধা ঘণ্টা বন্ধ থাকায় কয়েক কিলোমিটার জুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তারাইল ঈশ্বরদী গ্রামের মোখলেসুর রহমান সুমন মাতুব্বরের সঙ্গে একই গ্রামের ফারুক তালুকদার ও সাইদুল শিকদারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলেছিল। এই দুই গ্রুপের সঙ্গে এর আগেও কয়েক দফা হামলা, মামলা ও সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঈশ্বরদী গ্রামের আতাহার চৌধুরীর স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেন। পরে জানাজার জন্য সুমনের লোকজন সেখানে উপস্থিত হন। তখন ফারুক তালুকদার ও সাইদুল শিকদারের লোকজন সুমন মাতুব্বরের দলের রাজিব মাতুব্বরকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়।

এই সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মঙ্গলবার দুই গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হাইওয়ের ওপর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে সুমন মাতুব্বরের একটি পেট্রল পাম্প, ৫টি মোটরসাইকেল, দুটি দোকানে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়।

এ ব্যাপারে পেট্রল পাম্পের মালিক মোকলেসুর রহমান সুমন বলেন, “আমি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কাজী জাফরউল্লার নৌকা মার্কার নির্বাচন করেছি এবং আগামী উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করব। আমাদের তারাইল ঈশ্বরদী গ্রামের ফারুক তালুকদার ও সাইদুল শিকদারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। আমার সম্মান নষ্ট ও ক্ষতি করার জন্য আমার লোকজনকে ধরে নিয়ে পা ভেঙে দিয়েছে। কয়েকজনকে মারধর করেছে। আমার পেট্রল পাম্পটি ব্যাপক ভাঙচুর করেছে, ৫টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। পেট্রল পাম্প থেকে কয়েক লাখ টাকা ফারুক তালুকদারের লোকজন নিয়ে গেছে।”

এ ব্যাপারে ফারুক তালুকদার বলেন, “সুমনের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। আমাদের লোকজন পেলেই সুমনের লোকজন মারধর করে। আজকে আমার একজন লোককে মারার কারণে মারামারি ও সংঘর্ষ হয়েছে।”

এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন জানান, সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন লোক আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন আল-রশিদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Link copied!