রাজবাড়ীর পাংশায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রকাশ্যে স্বামীকে মারধর করেছেন স্ত্রী। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত অনেকেই ভিডিও ধারণ করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
৩৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, এক তরুণী সাদা শার্ট পরা এক যুবকের কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। ফোনটি নেওয়ার পর ওই নারী উত্তেজিত হয়ে খারাপ ভাষায় গালাগাল করেন এবং যুবকের পিঠে কিল-ঘুষি মারেন। এরপর তার মাথার চুল টেনে ধরে লাথি মারতে থাকেন। এ সময় ওই তরুণীকে বারবার ‘এক তালাক, দুই তালাক, তিন তালাক’ বলতে শোনা যায়।
মারধরের শিকার যুবকের নাম ফারুক হোসেন। তিনি পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। আর ওই তরুণীর নাম বিথি আক্তার ওরফে মিষ্টি। তিনি কালুখালী উপজেলার কাটাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আউটসোর্সিংয়ের চাকরি করেন।
ঘটনার সময় হাসপাতালের চিকিৎসক এনামুল হক রোগী দেখছিলেন। তিনি বলেন, ‘বেলা সোয়া একটা নাগাদ বাইরে চেঁচামেচির শব্দ শুনে বের হই। দেখি, ফারুকের সঙ্গে এক তরুণী গালাগাল ও হাতাহাতি করছেন। একপর্যায়ে তিনি ফারুককে কয়েক দফা মারধর করেন। পরে জানতে পারি, তারা স্বামী-স্ত্রী, তবে সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। আমি তাদের হাসপাতালে গোলমাল না করে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করতে বলি।’
ফারুক হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, কালুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আউটসোর্সিংয়ের চাকরি চলাকালে ওই তরুণীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তী সময়ে একটি কুচক্রী মহলের ইন্ধনে তার বিরুদ্ধে রাজবাড়ী আদালতে মামলা করেন। সেই মামলায় জামিনে আসার পর আরও চারটি মামলা করেন ওই তরুণী। একপর্যায়ে বিয়ে করলে সব মামলা তুলে নেবেন বলে জানান। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিয়ে করলেও মামলা না তুলে উল্টো নানাভাবে হয়রানি করতে থাকেন ওই নারী।
অন্যদিকে বীথি আক্তার দাবি করেন, ফারুক তার স্বামী হলেও দীর্ঘদিন কোনো যোগাযোগ নেই। ফারুক ব্যক্তিগত ছবি দিয়ে তাকে ব্ল্যাকমেল করছেন।