চলমান পরিস্থিতিতে সবাইকে টিকার আওতায় এনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে প্রতীকী ক্লাস নিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের সামনে লিপু চত্বরে ক্লাস নেন তিনি। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ১০-১৫ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। আগামীতে সপ্তাহে দুদিন এমন ক্লাস নেয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
এর একদিন আগে ক্লাস নেয়ার বিষয়ে কয়েকজন শিক্ষক তাদের নিজ নিজ ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন।
আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, এটাকে আমাদের অযৌক্তিক মনে হয়েছে। সরকার মাধ্যমিকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখছে, অথচ তাদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনছে না। তাহলে এর মানে কী? তাই এসব কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে আমরা প্রতীকী ক্লাস নিয়েছি। এই ক্লাস অব্যাহত থাকবে।”
এই বিষয়ে ফোকলোর বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমীরুল ইসলাম কনক সংবাদ প্রকাশকে জানান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন এই প্রতীকী ক্লাস নেন। আমরা ১৫ জন শিক্ষক সেখানে উপস্থিত ছিলাম। প্রতীকী ক্লাস চলাকালে উপস্থিত ছিলেন সহকারী দুই প্রক্টরসহ প্রক্টর অধ্যাপক লিয়াকত আলী।
আমীরুল ইসলাম বলেন, “সরকারের একেকজন মন্ত্রী একেক ধরনের কথা বলছেন। এতে আমরা বিভ্রান্তিতে পড়ছি। আমরা চাই সুস্পষ্ট ঘোষণা আসুক। দেশের পরিবহন, অফিস-আদালত, কলকারখানা সব কিছু চালু হয়ে গেছে। শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার নিয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত আসেনি।”
ফোকলোর বিভাগের এই সহযোগী অধ্যাপক আরো বলেন, “বাজেটে শিক্ষাকে খুব কম মূল্য দেওয়া হয়েছে। গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে এই সেক্টরটি। আমাদের দাবি সবাইকে টিকা দিয়ে ক্লাসে ফিরিয়ে আনা হোক। দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় স্বাভাবিকতা ফিরে আসুক। বর্তমানে বাংলাদেশের শিক্ষা খাত সবচেয়ে অবহেলিত। আমরা সরকারকে বার্তা দিতে চাই, স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেন দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়।”
প্রতীকী ক্লাসে উপস্থিত থাকার বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক লিয়াকত আলী সংবাদ প্রকাশকে জানান, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি দেখছিলাম। বাকি বিষয় উপাচার্য দেখছেন।



































