• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩০, ১৮ রজব ১৪৪৬

পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৮ ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ 


মাগুরা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২১, ০৮:৪৬ পিএম
পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৮ ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ 

সরকারি তহবিল থেকে সাড়ে ১০ কোটি আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের করা মামলায় জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা, ব্যাংক ও পুলিশ বিভাগের ৮ কর্মকর্তা কর্মচারির ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দিয়েছে মাগুরার আদালত।

দুদক যশোরের সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল মাগুরার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে সোমবার (১৬ আগস্ট) বিকালে উল্লেখিত অভিযোগে মাগুরার সাবেক হিসার রক্ষণ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামসহ হিসাবরক্ষণ, ব্যাংক ও পুলিশ বিভাগের ২৫ কর্মকর্তা কর্মচারী ও ২ ব্যক্তির বিরুদ্ধে এ মামলাটি দাখিল করেন।

মামলার আদেশে মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে আটজনের ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দেন মাগুরার সিনিয়র স্পেশাল আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ কামরুল হাসান।

ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মচারীরা হচ্ছেন মাগুরা জেলার সাবেক হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, পুলিশের উপপরিদর্শক হাসিনা খাতুন, পুলিশের দুই সহকারী উপপরিদর্শক শাহ আলম, আতিয়ার রহমান, চার পুলিশ সদস্য গাজী মশিউর রহমান, তাসলিমা খাতুন, হালিমা খাতুন ও ফিরোজ হোসেন। পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ বিচারক।

মাগুরা জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কাজী এস্কেন্দোর আজম বাবলু মামলার বিষয়ে জানান, গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পুলিশের সাধারণ তহবিল (জিপিএফ) ও নিরাপত্তা তহবিলের হিসাব থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ১০ কোটি ৪৪ লাখ ১ হাজার ৩৪৮ টাকা আত্মসাৎ করেন ব্যাংক হিসাব জব্দ হওয়া উল্লেখিত আটজনসহ মাগুরা পুলিশ, হিসাবরক্ষণ অফিস ও সোনালী ব্যাংকের ২৫ কর্মকর্তা কর্মচারী।

তাদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার বাসিন্দা আজমল মুন্সী ও মাগুরা সদরের বাসিন্দা রোকাইয়া ইয়াসমিন বিচিত্রা নামে ২ জন। এদের মধ্যে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বর্তমানে গাইবান্ধায়, পুলিশ কর্মকর্তা হাসিনা খাতুন সাতক্ষীরায় কর্মরত আছেন। ৬ পুলিশ সদস্য অবসরে গেছেন। ৫ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত করা হয়েছে। ৩ পুলিশ সদস্যের নামে বিভাগীয় মামলা হয়েছে।

অন্যরা বর্তমানে মাগুরাসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত রয়েছেন। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে পরস্পরে যোগসাজসে দুর্নীতির ও জালিয়াতির মাধ্যমে মাগুরা পুলিশের সাধারণ তহবিল (জিপিএফ) ও নিরাপত্তা তহবিলের হিসাব থেকে এ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় রোকাইয়া ইয়ামমিন বিচিত্রা ও আজমল মুন্সীর ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ করা হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত ৬ সদস্যের বিরুদ্ধে অস্তিত্বহীন ৬টি বিলের মাধ্যমে তাদের অবসর ভাতার অতিরিক্ত ৭৬ লাখ ১১ হাজার ৮১৫ টাকা উত্তোলনের অভিযোগ আনা হয়েছে। 

Link copied!