প্রমত্তা পদ্মার গর্ভে বিলীন হয়ে গেল মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। শনিবার (২৮ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে নদীর তীব্র স্রোতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটির ৭০ ভাগেরও বেশি অংশ নদীতে চলে গেছে। রোববার (২৯ আগস্ট) সকালের দিকে অবশিষ্ট অংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
আজিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, “চরাঞ্চলের আজিমনগর, লেছড়াগঞ্জ ও সুতালড়ী এই তিনটি ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের জন্য জন্য ২০১৪ সালে ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় এই আজিমনগর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি। গত বছর এটি নদী থেকে দেড়শ গজ দূরে থাকা অবস্থায় লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ভাঙনে কবল থেকে রক্ষা করতে এবারও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছে। তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছেন বলে আমাকে জানান। কিন্তু ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগই নেয়নি।”
চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পদ্মা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে একই উপজেলার সুতালড়ী রামচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়া চলতি বছর, শতাধিক বাড়িঘর, বিস্তীর্ণ ফসলি জমি ইতিমধ্যেই নদীতে চলে গেছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান।
মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, “বর্তমানে নদীতে তীব্র স্রোত থাকার কারণে ভাঙন রোধে কিছুই করা সম্ভব নয়। বিগত সময়ে কিছু কিছু এলাকায় বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আমরা সফল হইনি।”
মো. মাঈন উদ্দিন আরো বলেন, “চলতি মাসেই একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে চলে গেছে। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। কিন্তু বিদ্যালয়টিকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করতে পারিনি। এ কারণে আমরা এখন আর নদীতীরবর্তী চরাঞ্চলে কাজ করছি না। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে, ভবিষ্যতে যাতে নদীতীরবর্তী ভাঙন কবলিত এলাকায় পাকা ভবন না করে, স্থানান্তরযোগ্য স্থাপনা তৈরি করা হয়। যাতে, ভাঙনের আগেই তা সরিয়ে নেওয়া যায়।”