কক্সবাজারের মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভোট চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নে ভোটকেন্দ্রে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে আবুল কালাম (৪০) নামের একজন নিহত হন। এ সময় আরও পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। বেলা ১১টার দিকে কুতুবজোমের একটি ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
আবুল কালাম আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোশাররফ হোসেন খোকনের সমর্থক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষের কারণে দুই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকার প্রার্থী শেখ কামাল এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা প্রতীকের প্রার্থী মোশাররফ হোসেন খোকনের সমর্থকদের মধ্যে ভোট জালিয়াতি নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই আবুল কালাম নিহত হন।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছি।
এদিকে কুতুবদিয়া বড়ঘোপ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড়ের পিলটকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে আবদুল হালিম (৩০) নামের একজন নিহত হয়েছেন।
আবদুল হালিম বড়ঘোপ ইউনিয়নের গোলদারপাড়া এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কিছু লোক ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা করছিল। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক সদস্যের গুলিতে আবদুল হালিম আহত হন। তাকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কুতুবদিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর হায়দার ভোটকেন্দ্রে গোলযোগ সৃষ্টির চেষ্টাকালে আবদুল হালিম নামে একজন নিহত হয়েছেন। নিহতের মরদেহ কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। নিহত ব্যক্তি নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থক বলে জানান তিনি।