গবেষণাপত্র চুরির অভিযোগে শিক্ষকের বিরুদ্ধে কমিটি গঠন

গবেষণাপত্র চুরির (প্ল্যাজিয়ারিজম) অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহযোগী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ড। 

বৃহস্পতিবার (২৬) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে যবিপ্রবির সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ৭০তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে করোনা পরিস্থিতির সর্বশেষ অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে অতিদ্রুত সশরীরে বা অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। শুরুতেই রীতি অনুযায়ী উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। বৈশ্বিক মহামারির কারণে সদস্যদের অনেকে জুম অ্যাপসের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি এবং অনেকে সশরীরে রিজেন্ট বোর্ডের সভায় অংশ নেন।

সভায় জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপকের একটি লেখা যবিপ্রবির ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আমজাদ হোসেন নিজের নামে বাংলাদেশের দুটি পত্রিকায় প্রকাশ করে প্ল্যাজিয়ারিজম করেছেন। ওই অধ্যাপক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।

বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে সভায় যবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য ও সাভারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির মহাপরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটিকে এ ঘটনার সত্যতা যাচাই এবং এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়েছে কি না সেটি আমলে নিয়ে আগামী ২২ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়।

রিজেন্ট বোর্ডের সভায় করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অতিদ্রুত সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সভায় জানানো হয়, সশরীরে পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক অর্ডিন্যান্স রয়েছে। অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে কোনো অর্ডিন্যান্স না থাকায় যবিপ্রবির একাডেমিক কাউন্সিল একটি নীতিমালা রিজেন্ট বোর্ডে পেশ করে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সেটিও পাশ করা হয়। করোনা পরিস্থিতির সর্বশেষ হার বিশ্লেষণ করে অতিদ্রুত সশরীরে বা অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ, যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামানিক, যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন-৩) সৈয়দা নওয়ারা জাহান, সাভারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির মহাপরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহ, সাভারের পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এস এম আসাদুজ্জামান, যশোরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ড. কাওছার উদ্দিন আহম্মদ প্রমুখ।