উপন্যাসিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় তার “পদ্মানদীর মাঝি” উপন্যাসে পদ্মার ইলিশের খ্যাতির বর্ণনা দিয়েছেন।
পৃথিবীর মোট ইলিশের প্রায় ৬০ শতাংশ উৎপন্ন হয় বাংলাদেশে। বাংলাদেশের কয়েকটি নদী ও সাগরে ইলিশ পাওয়া যায়। এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত চাঁদপুর অঞ্চলের পদ্মা-মেঘনার ইলিশ।
চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে পদ্মার আসল ইলিশ চেনার ব্যাপক আগ্রহ দেখা যায় ক্রেতাদের মধ্যে। প্রায় বিক্রেতা তাদের সুবিধা অনুযায়ী ক্রেতাদের সাগর আর পদ্মার ইলিশের পার্থক্য বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
পদ্মা-মেঘনার ইলিশের খ্যাতির কারণে দূরদূরান্ত থেকে অনেকেই চাঁদপুর মাছঘাটে ইলিশ কিনতে আসেন। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সে সুযোগে ক্রেতাদেরকে ভুল বুঝিয়ে চড়া দাম হাতিয়ে নেন।
বাংলাদেশ মৎস গবেষণা ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা যায়, পদ্মার ইলিশ একটু বেঁটেখাটো। ইলিশের গায়ের রং চকচকে ও বেশি রুপালি হবে, মাছের আকার হবে পটলের মত অর্থাৎ মাথা লেজ সরু আর পেটমোটা, নদীর ইলিশ বেশি সুস্বাদু।
অন্যদিকে সাগরের ইলিশ হবে, সরু ও লম্বা, নদীর ইলিশের তুলনায় কম উজ্জ্বল এবং নদীর ইলিশের তুলনায় কম সুস্বাদু।
চাঁদপুর নদীকেন্দ্রের ইলিশের গবেষণা জোরদারকরণ প্রকল্পের পরিচালক মো. আবুল বাসার সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “সাগর এবং নদীর ইলিশ একই গোত্রের। সাগর ও নদীতে টেনুয়ালোসা ইলিশ গোত্রের মাছ পাওয়া যায়। জেলেরা যখন যেখানে পায় সেখানের নাম দেয়। লোনা পানি ও মিঠা পানিতে বসবাসের কারণেও ইলিশের স্বাদে কিছুটা পার্থক্য হয়। আর সেক্ষেত্রে নদীর ইলিশের স্বাদই বেশি হয়। ইলিশ সাগরেই বেশি থাকে। ইলিশ সমুদ্র থেকে এসে নদীতে ডিম ছাড়ার পর বাচ্চা ইলিশ আবার সমুদ্রে ফিরে যায়। আবার ডিম ছাড়ার সময় ইলিশগুলো তার জন্মস্থানে ফিরে যায়।”