কেবল দিনের বেলায় ভ্রমণের সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) থেকে পর্যটকরা সেন্ট মার্টিন দ্বীপে রাতযাপনের সুযোগ পাচ্ছেন। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি—এই দুই মাস দ্বীপে সীমিত আকারে রাতযাপন চালু থাকবে বলে জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
সাম্প্রতিক সময়ে দ্বীপের নাজুক পরিবেশ রক্ষায় ২২ অক্টোবর মন্ত্রণালয় নতুন নির্দেশিকা জারি করে। রবিবার জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপঙ্কর বড়া গণমাধ্যমকে জানান, রাতযাপন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন ইতোমধ্যে জারি করা হয়েছে।
এই নির্দেশনা বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এবং ‘সেন্ট মার্টিন দ্বীপের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও পরিবেশবান্ধব পর্যটন নির্দেশিকা, ২০২৩’-এর আলোকে প্রণীত।
পর্যটকদের অবশ্যই বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস ও কিউআর কোড থাকবে; কিউআর কোড ছাড়া কোনো টিকিট বৈধ ধরা হবে না। এ ছাড়া মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ব্যতীত কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করতে পারবে না—এ বিষয়ে বিআইডাব্লিউটিএকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নভেম্বর মাসে দ্বীপে কেবল দিনের বেলায় ভ্রমণ করা গেলেও রাতযাপন ছিল পুরোপুরি নিষিদ্ধ। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে সীমিত পর্যটক নিয়ে রাতযাপন অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
দ্বীপে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২ হাজার পর্যটক প্রবেশ করতে পারবেন। ফেব্রুয়ারি মাসে দ্বীপে পর্যটক প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে।
দ্বীপের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বেশ কিছু কার্যক্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে—
- রাতে সৈকতে আগুন জ্বালানো বা আলো ব্যবহার
- যেকোনো ধরনের শব্দ বা বারবিকিউ আয়োজন
- কেওয়া বনাঞ্চলে প্রবেশ, ফল সংগ্রহ বা বিক্রি
- কচ্ছপ, পাখি, প্রবাল, কাঁকড়া, শেলফিশসহ সামুদ্রিক প্রাণীর ক্ষতি
- মোটরসাইকেল, সি-বাইকসহ মোটরচালিত যানবাহন চালানো
- প্লাস্টিক পণ্য নিয়ে কঠোর অবস্থান
একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক, যেমন—চিপসের প্যাকেট, স্ট্র, প্লাস্টিক চামচ, ছোট শ্যাম্পু/সাবানের প্যাকেট এবং ৫০০–১০০০ মিলিলিটারের ছোট পানির বোতল নেওয়া নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। এর পরিবর্তে পর্যটকদের নিজস্ব ফ্লাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।








































