অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্ন শুক্রবার (৪ মার্চ) থাইল্যান্ডে মারা যান। মাত্র ৫২ বছর বয়সী ওয়ার্ন হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় পুরো ক্রিকেট বিশ্বে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ওয়ার্নের মৃত্যুতে তার ব্যবস্থাপনা পর্ষদ থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, কোহ সামুইতে অবস্থান করছিলেন ওয়ার্ন। সেখানে তাকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “শেনকে তার ভিলায় অচেতন অবস্থায় পাওয়া গেছে। চিকিৎসকরা সর্বোত্তম চেষ্টা করেছেন কিন্তু তার শরীর আর সাড়া দেয়নি। ওয়ার্নের পরিবার গোপনীয়তা বজায় রাখার অনুরোধ করেছিল। তারা বলেছিল যথাসময়ে বিস্তারিত জানাবে।”
গণমাধ্যম হেরাল্ড সান অনুসারে, ওয়ার্নের ঘনিষ্ঠ বন্ধু অ্যান্ড্রু নিওফিটো ওয়ার্নকে অচেতন থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হন। তিনি ফটো ডকুমেন্টারি ‘শেন’-এর একজন নির্বাহী প্রযোজক ছিলেন।
ওয়ার্নের ম্যানেজার জেমস এরস্কাইন জানান, ওয়ার্ন অ্যাশেজ সিরিজ নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। এরপর তিন মাসের বিরতি নিয়েছেন। এই অবসরের শুরুতে তিনি থাইল্যান্ডে ছিলেন।
ফক্স ক্রিকেটকে এরস্কাইন বলেন, “গতকাল রাত ১০টা ৩৭ মিনিটে মেলবোর্নে অ্যান্ড্রু নিওফিটো নামে একজনের কাছ থেকে একটি ফোনকল পেয়েছি। তিনি থাইল্যান্ডে শেনের সঙ্গে ছিলেন।”
এরস্কাইন আরও বলেন, “শেনের বিকেল ৫টায় বাইরে যাওয়ার কথা ছিল। বিকেল সোয়া ৫টায় তার দরজায় কড়া নাড়া হলে কিছু একটা হয়েছে ধারণা করা হয়। নিওফিটো তাকে সিপিআর দিয়েছিলেন। ২০ মিনিট পর অ্যাম্বুলেন্স আসে। এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল ২০ মিনিটের পথ ছিল। আমি প্রায় ৪৫ মিনিট পর একটি ফোনকলে জানতে পেরেছি শেনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।”