• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫
বিশ্বকাপের খবর

লিটন সেরাদের একজন হবেন, এবাদত না থাকাটা বড় ক্ষতি : সাকিব


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩, ০১:১৮ পিএম
লিটন সেরাদের একজন হবেন, এবাদত না থাকাটা বড় ক্ষতি : সাকিব
সাকিব আল হাসান এবং লিটন দাস। ফাইল ছবি

বিশ্বকাপে টাইগারদের দুশ্চিন্তার প্রধান কারণ টপ অর্ডারদের ব্যর্থতা। বেশ কয়েকটা সিরিজে পারফরমেন্স করতে পারেছেন না সেভাবে লিটন কুমার দাস। এর মধ্যে ফিটনেস ইস্যু কিংবা মনোমালিন্য, কারণ যেটাই হোক না কেন টাইগারদের বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে নেই অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল। তাই লিটনের সঙ্গে জুটি বাঁধতে পারেন গত আগস্টে অভিষেক হওয়া তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত ৪ ইনিংস ব্যাট করলেও নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি তিনি। অন্যদিকে, এবাদত হোসেনকে না পাওয়াটাকে সাকিব আল হাসান দেখছেন একটা বড় ক্ষতি।

বিশ্বকাপ মিশনে অংশ নিতে দেশ ছাড়ার আগে একটি টেলিভিশনকে নিজের নানা অভিমত ও ক্রিকেট বোর্ডের নানা ইস্যুতে কথা বলেন সাকিব। সে সময় টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেন, “বিশ্বকাপে বাংলাদেশের একমাত্র দুর্বলতা পেসার এবাদতকে না পাওয়া। আমি তাকে মিস করবে। কেননা ভারতের মতো কন্ডিশনে এবাদতের মতো পেসারের প্রয়োজন ছিল। আমাদের আর কোনো উইকনেস নেই। স্কোয়াডের বাকিদের নিয়ে আমি খুবই আশাবাদী। তারা খারাপ করলেও আমি মন খারাপ করব না। দলে অনেক তরুণ খেলোয়াড় আছে। আমি আশাবাদী তারা অনেক ভালো করবে। ”

এদিকে, ব্যাট হাতে এই বছর খুব একটা ছন্দে নেই লিটন কুমার দাস। তবে সাকিব তাকে নিয়ে অনেক আশাবাদী বিশ্বকাপে ভাল করবেন লিটন। সাকিব বলেন, “আমি শিওর, আমার কাছে কেন যেন মনে হয় এই বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়দের একজন হবে লিটন। ওর কাছে আমাদের ওর ব্যাটিংয়ের চেয়ে বেশি কিছু দরকার নেই। সে যদি শুধু তার নিজের ব্যাটিংটা উপভোগ করে, আমি নিশ্চিত মানুষ তাকে টিভিতে আরও বেশি উপভোগ করতে চাইবে।”

এ সময় টাইগারদের ওপেনিং নিয়ে টিাইগার কাপ্তান বলেন, “লিটন-তানজিদ দুজনই খুব এক্সসাইটেড প্লেয়ার। আমার কাছে মনে হয়, তারা আমাদের দলের গেম চেঞ্জার। তাদের কাছে প্রত্যাশা, যেদিন শুরু পাবে ওইদিন যেন ম্যাচটা জিতিয়ে আসে। আর কিচ্ছু করতে হবে না। নয় ম্যাচে হয়ত দুইটা, সর্বোচ্চ তিনটা, ওদের দুই-থেকে তিনটা খুব ভালো ম্যাচ খেলতে হবে। তাহলেই হবে।”

সাকিবের অনুপস্থিতিতে নিউজিল্যান্ড সিরিজে লিটন ছিলেন অধিনায়ক। শেষ ম্যাচে তিনি না থাকায় নেতৃত্বের ভার পড়ে নাজমুল হোসেন শান্তর কাঁধে। ‍যিনি বিশ্বকাপেও পেয়েছেন সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব। যে দায়িত্বটা এতদিন ছিল লিটনের কাঁধে। টাইগার উইকেটরক্ষক যেন তার ব্যাটিংয়ে মনোযোগ বাড়াতে পারেন সে জন্যই কী ম্যানেজমেন্টের এমন সিদ্ধান্ত?

 এই বিষয়ে সাকিব বলেন, “আমি নিশ্চিত এটা (সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে চাপ মুক্ত) তাকে সাহায্য করবে। এটা তাকে সাহায্য করবে, ব্যাটিংয়ে অনেক বেশি মনোযোগ বাড়াতে। কারণ আমাদের কাছে ওর ব্যাটিংয়ের চেয়ে আর বেশি গুরুত্বপূর্ণ কিছু নেই, সত্যি কথা।”

Link copied!