• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

শুভ জন্মদিন তাসকিন আহমেদ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৩, ২০২৩, ১১:৩৯ এএম
শুভ জন্মদিন তাসকিন আহমেদ
ছবি: সংগৃহীত

“স্পিডস্টার” কম দেখেনি বাংলাদেশ  ক্রিকেট দল। এসেছিলেন একজন জিএম নওশের প্রিন্স। বোলিং ওপেনিংয়ে আগুন ঝড়াতেন হাসিবুল হোসেন শান্ত। এরপর এলেন ব্যাপক প্রভাবধারী মাশরাফি বিন মুর্তজা। কিন্তু শুধু “স্পিডস্টার” পরিচয়ে নির্দিষ্ট করা যায় না ম্যাশের ধাঁচ। ক্যারিয়ারের নানা পর্যায়ে ইনজুরির সঙ্গী হয়ে বলের গতি কমাতে বাধ্য হন মাশরাফি। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দল জেতানোর জন্য ক্রিকেট ইতিহাস তাকে মনে রাখবে।

কিন্তু দলে অন্য অনেক কিছুর মতো একজন “স্পিডস্টার”ও চাই। সে অভাবই যেন পূরণ করেন একজন তাসকিন আহমেদ। ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গড় গতিতে বল করার মতো তারকাকে আমাদের ক্রিকেট পেয়ে যায় তার আগমনে। অনেকটাই স্বয়ংসম্পূর্ণ বর্তমানের টাইগার স্কোয়াড। যার কৃতিত্ব কিছুটা তাসকিনেরও।

আজ ৩ এপ্রিল তাসকিন আহমেদের জন্মদিন। ২৬ বছরে পা রাখলেন এই “স্পিডস্টার”। শুভ জন্মদিন, তাসকিন!

তাজিম ডাকনামে তাসকিন আহমেদের জন্ম ঢাকায়। ধানমণ্ডির আবাহনী মাঠে ক্রিকেট খেলতেন ছোট থেকেই। অনূর্ধ্ব ১৫ ও অনূর্ধ্ব ১৭ দলে প্রথম ডাক আসে। খেলেছেন জাতীয় দলের “পাইপ লাইন” হিসেবে বিবেচিত অনূর্ধ্ব ১৯ দলেও। এই দলের হয়ে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের কৃতিত্বও তার। ২০১২ সালের সেই আসরে তাসকিনের অর্জনের ঝুলিতে যোগ হয়েছিল ১১টি উইকেট।

তখনও জাতীয় দলে ডাক আসেনি। তাসকিন মাতিয়ে রেখেছিলেন বিপিএল। প্রথমবার খেলেছিলেন চিটাগং কিংসের হয়ে। পরের বছর চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন-এর হয়ে।

তাসকিন আহমেদের লম্বা রানআপ, দারুণ বোলিং স্টাইল আর অব্যর্থ নিশানার কারণে বহু আগেই নজর কেড়েছেন ক্রিকেট বোদ্ধাদের। ভাগ্যের মোড় ঘুরে যায় ২০১৪ সালে ১ এপ্রিল। টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জাতীয় দলে সুযোগ পান তিনি। সে ম্যাচে পেয়েছিলেন অজি হার্ড হিটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের উইকেট।

এরপর ২০১৪ সালের ১৭ জুন ওয়ানডে অভিষেক। ভারতের বিপক্ষে সে ম্যাচে প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে ডেব্যুতেই ৫ উইকেট পান তাসকিন আহমেদ।

সৌভাগ্যের বরপুত্রের এরপর বাকি থাকে টেস্ট অভিষেক। একটু সময় লাগলেও ২০১৭ সালের ১২ জানুয়ারি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম অভিষেক সাদা পোশাকের ক্রিকেটে। প্রথম ম্যাচেই পেয়েছিলেন কেন উইলিয়ামসনের উইকেট।  এরপর সব ধরনের ক্রিকেটেই আবশ্যক হয়ে যান তাসকিন। তার ধারাবাহিকতার ওপর অনেকটাই নির্ভর করে দেশের জয়। একটি স্পিন অধ্যুষিত বোলিং অ্যাটাকে একজন পেসারের উত্থান সহজ নয়। তাসকিন আহমেদ তাজিম তাই বাংলাদেশের এক অমূল্য সম্পদ। আজ তার জন্মদিনে তাই তার অনাগত আরও অনেক সাফল্যের প্রার্থনায় ক্রিকেট ফ্যানরা।  

Link copied!