• ঢাকা
  • শনিবার, ০৩ মে, ২০২৫, ২০ বৈশাখ ১৪৩২, ৪ জ্বিলকদ ১৪৪৬

অ্যাশেজের প্রথম দিনটা অস্ট্রেলিয়ার


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২৩, ০৯:১১ এএম
অ্যাশেজের প্রথম দিনটা অস্ট্রেলিয়ার
ছবি: সংগৃহিত

সিরিজ বাঁচানোর শেষ ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংটা ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইংলিশরা অল আউট ২৮৩ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেটে ৬১ রান তুলে দিন শেষ করে অস্ট্রেলিয়া। অজিরা এখনো পিছিয়ে আছে ২২২ রানে।

এবারের অ্যাশেজের শুরুর দিকে দাপট ছিল অস্ট্রেলিয়ার। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে যায় তারা। পরের ম্যাচ জিতে আবার লড়াই ফেরে ইংল্যান্ড। চতুর্থ ম্যাচেও আধিপত্য ছিল তাদের। তবে বৃষ্টির বাধায় জয় পাওয়া হয়নি তাদের। এখন তাদের চাওয়া শেষ টেস্টটা জিতে সিরিজ সমতায় আনা।

কিন্তু ওভাল টেস্টের প্রথম ইনিংসটা তাদের জন্য সুখকর হলো না। বাজবল ধাঁচে খেলতে গিয়ে এদিন তারা ৫৪.৪ ওভারের মধ্যেই সব কটি উইকেট হারিয়ে ফেলে। শুরুটা অবশ্য খারাপ ছিল না তাদের। ওপেনার বেন ডাকেটের মারকুটে ইনিংসে দ্রুতই রান তুলে নেয় তারা। কিন্তু দলীয় ৬২ রানে বেন ডাকেটের আউটের পরই ধস নামে ব্যাটিংয়ে। ডাকেট ৪১ বলে ৪১ রান করে মিচেল মার্শের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন।

এরপর দলীয় ৬৬ রানে জ্যাক ক্রলি ও ৭৩ রানে জো রুট আউট হলে চাপে পড়ে ইংলিশরা। ক্রলি ৩৭ বলে ২২ ও রুট ১১ বলে ৫ রান করে ক্রিজ ছাড়েন।

পরিস্থিতি হতে পারতে আরও খারাপ। রুটের মতো ৫ রানে ফিরতে পারতেন হ্যারি ব্রুকও। কিন্তু কামিন্সের বলে ক্যাচ গ্লাভসে নিতে পারেননি ক্যারে। জীবন পেয়ে আগ্রাসে ব্যাটিং করেন ব্রুক। ৪৪ বলে স্পর্শ করেন পঞ্চাশ।

দেখেশুনে শুরু করেন মঈন আলী। প্রথম ৩৭ বলে করেন ১১ রান। লাঞ্চের পর সিঙ্গেল নেওয়ার সময় চোট পান কুঁচকিতে। চিকিৎসা নিয়ে, ওষুধ খেয়ে খেলা চালিয়ে যান। অসুস্থ মঈন এরপর  ৯ বলে করেন ২৩ রান।

৫৭ বলে ৫০ স্পর্শ করে জুটির রান, একশ আসে ১০২ বলে। এরপর তারা যেতে পারেনি বেশি দূর। মার্ফির বলের লাইন মিস করে মইন বোল্ড হলে ভাঙে ১০৮ বল স্থায়ী ১১১ রানের জুটি। আউট হওয়ার আগে মঈন আলীর ব্যাট থেকে আসে ৩৪ রান।

তার বিদায়ের পর ব্রুককে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন বেন স্টোকস ও জনি বেয়ারস্টো । ৩ রান করা স্টোকসকে আউট করেন মিচেল স্টার্ক ও ৪ রান করা বেয়ারস্টোর উইকেট শিকার করেন হ্যাজেলউড।

তাদের পর ক্রিজ ছাড়েন ব্রুকও। ৮৫ রানে থামে তার ইনিংস। ৯১ বলে তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ১১ চার ও ২ ছক্কার মারে।

শেষ দিকে ক্রিস ওকসের ৩৬ বলে ৩৬ ও মার্ক উডের ২৯ বলে ২৮ রানে ভর করে ২৮৩ রান তুলতে সক্ষম হয় ইংলিশরা। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট তুলে নেন মিচেল স্টার্ক। এ ছাড়া ২টি করে উইকেট নিয়েছেন জশ হ্যাজেলউড ও টড মার্ফি।

এদিকে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভালোই জবাব দিচ্ছিল অজিরা। কিন্তু দিনের শেষ দিকে গিয়ে ওকসের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ডেভিড ওয়ার্নার। ক্যারিয়ারের শেষ অ্যাশেজ খেলতে নামা এই ব্যাটার ৫২ বলে ২৪ রান করেন। ক্রিজে অপরাজিত আছেন উসমান খাজা ও মার্নাস লাবুশেন। উসমান ৭৫ বলে ২৬ ও লাবুশেন ২৩ বলে ২ রান করেছেন। ইংল্যান্ডের হয়ে একমাত্র উইকেটটি নিয়েছেন ক্রিস ওকস।

Link copied!