নেদারল্যান্ডস অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসের হাফ সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়াকু রান পেল ডাচরা। টাইগারদের সামনে ২৩০ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে নেদারল্যান্ডস। দলটির অধিনায়ক এডওয়ার্ডস করেন সর্বোচ্চ ৬৮ রান।
বোলিংয়ে নেমে শুরুতেই ডাচদের দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে দেন টাইগার পেসাররা। দলীয় ৪ রানের ভিতর দুই ওপেনারকে হারায় তারা। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে তাসকিন আহমেদ ফেরান বিক্রমজিত সিংকে। পরের ওভারেই বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন শরিফুল ইসলাম। ফেরান ম্যাক্স ও`ডাউডকে। বিক্রমজিত ৩ রান করলেও, রানের খাতা খোলা হয়নি ম্যাক্সের।
তবে তিনে নেমে ওয়েসলি বারেসি শুরু করেন পাল্টা আক্রমণ। বারেসির আক্রমণে আবারও ম্যাচে ফিরতে শুরু করে নেদারল্যান্ডস। তাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে আবারও চালকের আসনে বসান মুস্তাফিজুর রহমান। মুস্তাফিজের স্লোয়ার ফুল লেন্থ বলে শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন বারেসি, দৌড়ে এসে সেটা লুফে নেন সাকিব। ৪১ বলে ৪১ রান করে আউট হন ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা বারেসি। পরের ওভারেই সাকিব ফেরান আরেক সেট ব্যাটার কলিন অ্যাকারম্যানকে।
এরপরে ৭৪ বলে ৪৪ রানের জুটি গড়েন বাস ডি লিডি ও দলপতি স্কট। সেই জুটি ভেঙে আবারও নেদারল্যান্ডসকে চাপে ফেলেন তাসকিন। দলীয় ১০৭ রানে উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিডি। ৩২ বলে ১৭ রান লিডিকে অবশ্য প্রথমে আউট দেননি আম্পায়ার জোয়েল উইলসন। তবে অধিনায়ক সাকিবসহ বাকিদের আবেদন ছিল জোরাল। বাংলাদেশ রিভিউ নেয়ার পরপরই হাঁটা শুরু করেন বাস ডি লিডি। বল যে ব্যাটে লেগেছে, সেটি নিশ্চিত তিনি।
এরপরে নেদারল্যান্ডসকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন সাইব্রান্ড এঙ্গেলব্রেখট ও অধিনায়ক স্কট। সুযোগ পেলেই এই দুজন রানের খাতা বড় করার চেষ্টা করছিলেন। তবে দুজনকেই অনেক আগেই ফেরাতে পারত বাংলাদেশ। কিন্তু একাধিকবার ক্যাচ মিস করায় সেই সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে।
৪৫তম ওভারে ডাচ দলপতিকে ফিরিয়ে স্বস্তি আনেন মুস্তাফিজ। অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে ড্রাইভ করেছিলেন স্কট, সেটি ক্যাচ হয়ে মিরাজের হাতে গিয়ে পড়ে। ৮৯ বলে ৬৮ রান করে ফেরেন স্কট। এরপরেই এঙ্গেলব্রেখট করেন ৬১ বলে ৩৫ রান। শেষ দিকে লোগান ফন বিকের ১৬ বলে ২৩ রানের ক্যামিও ইনিংসে দুইশ পার করে নেদারল্যান্ডস। শেষ পর্যন্ত ২২৯ রানের পুঁজি পায় ডাচরা। বাংলাদেশের হয়ে শরিফুল, তাসকিন, মোস্তাফিজ ও মাহেদী হাসান শিকার করেন দুই উইকেট।