শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সেমিতে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার বিদায়

শনিবার (৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা। এই ম্যাচেই ভাগ্য নির্ধারিত হয় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের। ম্যাচে লঙ্কানদের ৪ উইকেটে হারিয়ে দেয় ইংলিশরা।

ম্যাচে টস জিতে লঙ্কানরা ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রান করে তারা।

ইনিংসের শুরুতে দুই ওপেনার কুশাল মেন্ডিস ও পাথুম নিশাঙ্কা জুটি দলের রান ৩৯ এ পৌছে দেন। তাদের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে মেন্ডিস আউট হলে। তিনি ১৪ বলে ১৮ রান করেন।

দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে  ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সাথেও পাথুমের জুটি জমে ওঠে। ইনিংসের ৭২ রানে  ধনঞ্জয়া ব্যক্তিগত ৯ রানে ফেরেন। আর ১২ রান যোগ করেই চারিথ আসালঙ্কা আউট হন।

শ্রীলঙ্কার চতুর্থ উইকেট ছিল নিশাঙ্কার। দলের পক্ষে তার রানই ছিল সর্বোচ্চ। ৪৫ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

বাকি ব্যাটারদের মধ্যে কেবল ভানুকা রাজাপাকশে ২২ বলে ২২ রান যোগ করেন। বাকি ব্যাটাররা দুই অঙ্কের ঘরে পৌছানোর আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরত যান। শ্রীলঙ্কার ইনিংস থামে ৮ উইকেটে ১৪১ রানে।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটি ৭৫ রানের ইনিংস উপহার দেয়। বড় রানের পার্টনারশিপের পর ইংলিশরা প্রথম উইকেট হারায়। জস বাটলার ২৩ বলে ২৮ রানে ফেরত যান। আর মাত্র ৭ রান যোগ হতেই দ্বিতীয় উইকেট হারায় তারা। অ্যালেক্স হেলস ৩০ বলে ফিফটি থেকে তিন রান দূরে থেকে ফেরত যান।

হ্যারি ব্রুকও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। অল্প রানের ব্যবধানে লিয়াম লিভিংস্টোন, মঈন আলি, স্যাম কুরানকে পরপর হারিয়ে হারের শঙ্কা জাগায় তারা। দলের ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে ছিলেন বেন স্টোকস। তিনি শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ৪২ রান।

২ বল হাতে রেখে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌছে যায় ইংল্যান্ড।
এই জয়ের ফলে সেমি ফাইনাল নিশ্চিত হলো ইংল্যান্ডের। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে পয়েন্ট একই হলেও রানরেট টপকে টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে দলটি। সেমির মঞ্চে ১ নং গ্রুপ থেকে তাদের সঙ্গী নিউজিল্যান্ড।