• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

দ্বিতীয় শিরোপা জিতে ’৯২-র প্রতিশোধ ইংল্যান্ডের


পার্থ প্রতীম রায়
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২২, ০৫:৫৩ পিএম
দ্বিতীয় শিরোপা জিতে ’৯২-র প্রতিশোধ ইংল্যান্ডের

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে মেলবোর্নে মুখোমুখি ইংল্যান্ড ও পাকিস্তান। তাতেই ফিরে এসেছিল ১৯৯২ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালের স্মৃতি। সেবার গ্রাহাম গুচের ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইমরান খানের পাকিস্তান জিতেছিল শিরোপা। ইমরান খানের মতো নায়ক হতে পারেননি বাবর আজম। জস বাটলার উঁচিয়ে ধরলেন সাদা বলের ক্রিকেটের ইংল্যান্ডের তৃতীয় শিরোপা।

২০১০ সালে পল কলিংউডের নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম শিরোপা জেতে ইংল্যান্ড। দীর্ঘ এক যুগ পর আবারও ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণে শিরোপা জিতলো ইংলিশরা। এবার খেলোয়াড় কিংবা অধিনায়কের নেতৃত্বে না থাকলেও কোচিং প্যানেলে আছেন পল কলিংউড। কোচ হিসেবে পাবেন শিরোপা জয়ের স্বাদ।

রোববার (১৩ নভেম্বর) মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ইংলিশ কাপ্তান জস বাটলার। পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে পাওয়ার প্লেতে বেশ ভুগেছিল পাকিস্তান। এবারও তার ব্যতিক্রম ছিল না। পাওয়ার প্লে-তে ৩৯ রান তোলে বাবর আজমের দল।

পাওয়ার প্লের সেই দূর্দশা অবশ্য কাটিয়ে উঠতে পারেনি দলটি। নিয়মিত বিরতিতে একের পর এক পাকিস্তানি ব্যাটার ফেরেন প্যাভিলিয়নে। স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে শান মাসুদ ২৮ বলে ৩৮ রান করে কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও তা আর হয়নি। শেষ পর্যন্ত ১৩৭ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস।

১৩৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইংল্যান্ডের শুরুটা খুব একটা ভালো ছিল না। মাত্র ৪৫ রান তুলতেই তিন উইকেট হারিয়ে বসে ইংল্যান্ড। তখনই আঁচ পাওয়া যাচ্ছিলো ম্যাচে গড়ে উঠবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা। সেই প্রতিদ্বন্দ্বীতার পথে কয়েক ধাপ এগিয়েও গিয়েছিল পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড। বেন স্টোকসের সেই তাণ্ডবে অবশ্য প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়ে উঠতে পারেনি। বল হাতে ১ উইকেট নেওয়া স্টোকস ব্যাট হাতে ৪৯ বলে করেছিলেন ৫২ রান। মূলত তার এই ব্যাটিং ঝড়েই ম্যাচটা হয়ে উঠেনি প্রতিদ্বন্দ্বীপূর্ণ। আলোচনায় থাকা ১৯৯২ এর প্রতিশোধ তুলে শিরোপা জেতে ইংলিশরা।

ফাইনালের আগ থেকে আলোচনায় ছিল ১৯৯২ এর ফাইনালের স্মৃতি। সেবারের লড়াইয়ে ইমরান খানের দল শিরোপা জিতেছিল। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানকে এনে দিয়েছিল প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপার স্বাদ।

ইমরানের অধীনে ওইবার পাকিস্তানের ইনজামাম উল হক-রমিজ রাজারা হয়ে উঠেছিলেন দলকে শিরোপা জেতানোর নায়ক। তবে বাবর আজমের অধীনে রিজওয়ান-শাহিন শাহ কিংবা নাসিম শাহরা জেতাতে পারেননি পাকিস্তানকে।

১৯৯২ সালে শিরোপা জিততে ব্যর্থ হওয়া ইংলিশরা প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপার স্বাদ পায় ২০১০ সালে। সেবার অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো শিরোপা জেতে ইংলিশরা। শুধু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নয়, যে কোন ফরম্যাটেই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছিল ইংলিশরা।

এর ছয় বছর পর ২০১৬ সালে আরও একবার শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে ছিল ইংল্যান্ড। সেবার শেষ ওভারে বেন স্টোকসকে টানা চার ছক্কায় ম্যাচ নিজেদের করে নিয়েছিলেন কার্লোস ব্রাথওয়েট। ভারতের মাটিতে ইংলিশদের কাঁদিয়ে দ্বিতীয় শিরোপার স্বাদ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই ক্যারিবিয়ানদের সমান দুইটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা এখন ইংল্যান্ডের ট্রফি কেসেও।

ওইবার দলকে শিরোপা এনে দিতে না পারা স্টোকসই ইংলিশদের দুই শিরোপা জয়ের নায়ক। ২০১৯ সালে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপের স্বাদ এনে দিতে ফাইনালে বড় ভূমিকা ছিল তার। তিন বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেও ফাইনালের তারকা স্টোকস। একবার দলকে শিরোপা বঞ্চিত করা স্টোকস ইংলিশদের উপহার দিলেন দুই দুইটি বিশ্বকাপের শিরোপা।

Link copied!