বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কিউই অধিনায়ক টম লাথাম। হেনরি নিকোলস ও টম ব্লান্ডেলের ৬৬ রানের জুটিতে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান করে সফরকারীরা। সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেছেন হেনরি নিকোলস। বাংলাদেশের হয়ে সাইফউদ্দীন নিয়েছেন দুটি উইকেট।
করোনা থেকে সুস্থ হয়েই দলের হয়ে ওপেন করতে নামেন ফিন অ্যালেন। অ্যালেনের সঙ্গী ছিলেন রচিন রবীন্দ্র। প্রথম ওভারে যথারীতি বল করতে আসেন শেখ মেহেদী। ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু পায় ব্ল্যাক ক্যাপসরা। প্রথম ওভারেই দুটি চারে ১১ রান তুলে ফেলে সফরকারীরা। দ্বিতীয় ওভারে স্পিনার নাসুম আহমেদ দেন ৫ রান।
তৃতীয় ওভারেই কাটার মাস্টার মোস্তাফিজকে আক্রমণে আনেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এসেই বিধ্বসী অ্যালেনকে তুলে নেন মোস্তাফিজ। মিড অনে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৫ রান করে ফিরেন তিনি। ১৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় ব্ল্যাক ক্যাপসরা।
পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ৪১ রান তুলে সফরকারীরা। রানে অবশ্য ভালোই উন্নতি করেছে কিউইরা। প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেটে ১৮ আর দ্বিতীয় ম্যাচে ২ উইকেটে ২৮ করেছিল তারা।
ইয়াং ও রবীন্দ্রের ৩০ রানের জুটি ভাঙেন সাইফউদ্দীন। এক ওভারেই দুই উইকেট তুলে নেন তিনি। তাও দুইজনই আবার হয়েছেন এলবিডব্লু। ইয়াং করেন সমান ২০ বলে ২০ রান আর রানের খাতা খুলতেই পারেননি কলিং ডি গ্র্যান্ডহোম। ৭ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৪৬ রান করে সফরকারীরা।
নিজের শততম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নেমে বল হাতে তুলে নেন রাচিন রবীন্দ্রকে। অধিনায়কের ফোলার লেন্থের বল উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে মিস করেছেন বল। উইকেট কিপার নুরুল হাসান সোহান অবশ্য কোন ভুল না করে সাজঘরে পাঠান রবীন্দ্রকে। দুটি চারে ২০ বলে ২০ রান করেন তিনি।
গত ম্যাচে সর্বোচ্চ রান অধিনায়ক টম লাথাম হতাশ করেছেন দলকে। শেখ মেহেদীর বল উইকেট থেকে এগিয়ে এসে খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু টপ এজড হয়ে মেহেদীর হাতেই ক্যাচ দিয়ে ৫ রান করে ফিরেন তিনি।
প্রথম দুই ওভারে যেখানে ১ মেডেনসহ মাত্র পাঁচ রান দিয়েছিলেন মোস্তাফিজ। সেখানে ১৮তম ওভারে দেন ১৩ রান। হেনরি নিকোলস দুটি চার মারের মোস্তাফিজের এ ওভারে।
হেনরি নিকোলস ও টম ব্লান্ডেলের ৬৬ রানের জুটিতে ১২৮ রান করে নিউজিল্যান্ড। টম ও নিকোলস করেন অপরাজিত ৩০* ও ৩৬* রান।
মোস্তাফিজ, মেহেদী ও মাহমুদউল্লাহ নিয়েছেন একটি করে উইকেট। সাকিব আল হাসান ও নাসুম আহমেদ ছিলেন উইকেটশূন্য।