ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে স্বতন্ত্র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, ‘আপনারা দেখেন প্রতিটা মানুষের চোখে কতটা আশা, ভালোবাসা, আস্থা এবং বিশ্বাস। মানুষ যে ভালোবাসা এবং আস্থা-বিশ্বাস আমার প্রতি রেখেছে, আমি যেন তার উপযুক্ত প্রতিদান দিতে পারি।’
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুবকর সরকারের হাতে তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা এবং বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ও বুধন্তি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন রুমিন ফারহানা। তবে এ আসনটি জোটের শরিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ-এর প্রার্থী জুনায়েদ আল হাবীবকে ছেড়ে দিয়েছে দলটি।
মনোনয়ন দাখিল শেষে সাংবাদিকদের রুমিন ফারহানা বলেন, আল্লাহর পরিকল্পনা মানুষের বুঝার বাইরে। আল্লাহর এ পরিকল্পনায় আমার বাবা (অলি আহাদ) ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের জোয়ারের বিপক্ষে স্বতন্ত্র নির্বাচন করেছিলেন। রাব্বুল আলামিন কী অদ্ভুত পরিকল্পনা ২০২৬ সালে এসে ধানের শীষের জোয়ারের বিপক্ষে আমাকে স্বতন্ত্র লড়াই করতে হচ্ছে। আল্লাহর পরিকল্পনা এবং তা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা মানুষের বুঝার বাইরে।
এ সময় রুমিন ফারহানার সঙ্গে বিএনপির সাবেক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর তার পক্ষে সরাইলের সহকারি রিটানিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন সাবেক যুবদল নেতা মো.আলী হোসেন।
দীর্ঘদিন ধরেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে রুমিন ফারহানার প্রার্থিতা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছিল। তিনি বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হলেও জোটের স্বার্থে আসনটি ছেড়ে দিয়ে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি। তবে ভোটের মাঠ ছাড়েননি রুমিন ফারহানা। নিয়মিত গণসংযোগ চালিয়ে গেছেন তিনি।
এদিকে, জোটের প্রার্থী জুনায়েদ আল হাবিবও সরাইল উপজেলার সহকারি রিটার্নিং অফিসার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলামসহ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। জুনায়েদ আল হাবিব এ সময় বিএনপিসহ জোটের সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
