অসহায় পথ-প্রাণীদের কল্যাণে রাজধানীর বনানীতে যাত্রা শুরু করেছে ‘মিঁয়াও ক্যাফে’। শনিবার (৬ নভেম্বর) বিকাল ৩টায় বনানীর ৮নং রোডে ক্যাট ক্যাফেটির উদ্বোধন করেন কবি ও কথাশিল্পী আনোয়ারা সৈয়দ হক। এ সময় অনুষ্ঠনে উপস্থিত ছিলেন ক্যাফেটির কর্ণধার সাদিয়া স্বাতীসহ অভিনেতা নাদের চৌধুরী, কণ্ঠশিল্পী কৃষ্ণকলি, পরিচালক শাহনেওয়াজ কাকলী, পথিক নবী, চলচ্চিত্র শিল্পী নায়িকা মুনমুন, চিত্রশিল্পী কনকচাঁপা চাকমা, প্রাণী অধিকার কর্মী রকিবুল হক এমিল প্রমুখ।
সাদিয়া স্বাতী বলেন, “শুধুমাত্র পশুপ্রেম থেকে নয় বরং সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকেই তার এই ভিন্নধর্মী উদ্যোগ। মানুষের অস্তিত্ব টিকে থাকবে প্রকৃতির সুস্থতায়। প্রকৃতির যার যা প্রাপ্য, তাকে সেটা দিতে হবে। মানবতায় মানুষের মহৎ মহত্ব।”
তিনি আরো বলেন, “আমাদের ক্যাফেতে বাংলা, চাইনিজ, কন্টিনেন্টালসহ সব ধরনের খাবার পাওয়া যাবে স্বল্পমূল্যে। সেই সাথে সম্পূর্ণ আলাদা ঘরে থাকবে দেশি-বিদেশি বিড়াল। তাদের সাথে অতিথিরা সময় কাটাতে পারবেন স্বাচ্ছন্দ্যে। বিড়ালের ঘর, রান্নাঘর ও খাবারের ঘরের জায়গা আলাদা। পরিচ্ছন্নতাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।”
কণ্ঠশিল্পী কৃষ্ণকলি বলেন, “মিঁয়াও ক্যাফে একদম ভিন্নধর্মী একটি উদ্যোগ। আমরা যারা পশুপ্রেমী আছি, তারা সহজেই এখন তাদের পোষাপ্রাণীটাকে নিয়ে এই ক্যাফে আসতে পারবো।”
অভিনেতা নাদের চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশের মতো জায়গায় ঘরে ঘরে পোষা প্রাণী থাকলেও, তাদের জন্য বা তারা আসতে পারবে এমন কোনো ক্যাফের কথা আমি শুনিনি। কাজেই এটি নিঃসন্দেহে একটি অভিনব উদ্যোগ।”
চলচ্চিত্র পরিচলক শাহনেওয়াজ কাকলী বলেন, “মিঁয়াও ক্যাফে তো তথাকথিক ক্যাফে নয়। এখানে যারা আসবেন তারা প্রথমেই একটা বাসার পরিবেশ পাবেন, একটা ঘরের পরিবেশ পাবেন। বাংলাদেশে এই দ্বিতীয় বারের মতো এমন একটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আমরা যারা পশু ভালোবাসি তাদের জন্য মিঁয়াও ক্যাফে এখন একটি উদাহরণ। তাছাড়া এই পশুশ্রেণী তো আমাদের প্রকৃতির অংশ। কাজেই আমি যতটা গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকৃতির জন্য, ঐ প্রাণীটিও ততোধিক গুরুত্বপূর্ণ।”