জলবায়ু পরিবর্তনে বিশ্বনেতাদের ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী

জলবায়ু পরিবর্তনের সংকট ও পৃথিবীর জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় বিশ্বনেতাদের কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় সোমবার সকালে জলবায়ু পরিবর্তনে বিরূপ প্রভাব মোকাবেলাবিষয়ক নেতাদের এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ৬টি সুপারিশ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “পৃথিবীর জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় আমাদের জরুরিভাবে সাহসী এবং অধিকতর শক্তিশালী ব্যবস্থা নিতে হবে।”

প্রধানমন্ত্রী তার সুপারিশের প্রথম প্রস্তাবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে প্যারিস চুক্তির কঠোর প্রয়োগের আহ্বান জানান।

দ্বিতীয় প্রস্তাবে উন্নত দেশগুলো থেকে বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু তহবিল আদায়ের ওপরও জোর দিয়েছেন। এ টাকার ৫০ শতাংশ অভিযোজন এবং স্থিতিস্থাপকতার জন্য খরচ করা উচিত, বিশেষ করে জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য।

তৃতীয় প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাছে নতুন আর্থিক মেকানিজম এবং পরিবেশবান্ধব সবুজ প্রযুক্তি হস্তান্তর করার কথা বলেন।

চতুর্থ প্রস্তাবে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি ও ধ্বংস এবং এর কারণে বড় পরিসরে জনগণের বাস্তুচ্যুত হওয়ার সংকট মোকাবিলা করতে বলেন।

পঞ্চম প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারি এবং দুর্যোগের দুই বিপদ মোকাবিলায়, বিশেষ করে ক্রমবর্ধমান জলবায়ু পরিবর্তন দুর্যোগ বাড়ার সঙ্গে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) দেশগুলোর সক্ষমতা তৈরিতে সহায়তা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ প্রস্তাবে আগামী প্রজন্মের জন্য টেকসই ভবিষ্যৎ রেখে যেতে সবাইকে বৈশ্বিক মনোভাব নিয়ে কাজ করার কথা বলেন শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা জলবায়ু ভালনারাবলিটি থেকে জলবায়ু রেজিলেন্স, জলবায়ু রেজিলেন্স থেকে জলবায়ু সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।”

এ সময় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসও বক্তব্য রাখেন।

বৈঠক শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের বাগানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একটি গাছের চারা রোপণ করেন।