বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্থগিত হবে কি না—এ নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য জানা গেছে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও), ১৯৭২ অনুযায়ী কোনো বৈধ প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময়সীমা পার হওয়ার পর মৃত্যুবরণ করলে সংশ্লিষ্ট আসনের নির্বাচনী কার্যক্রম স্থগিত হতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে পুরো জাতীয় নির্বাচন নয়, কেবল ওই আসনের নির্বাচন বাতিলের বিধান রয়েছে।
আরপিওর ১৭(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বৈধভাবে মনোনীত কোনো প্রার্থী মৃত্যুবরণ করলে রিটার্নিং কর্মকর্তা গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট আসনের নির্বাচন বাতিল করবেন এবং বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করবেন। এরপর কমিশন নতুন তফসিল ঘোষণা করবে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, “আইনে বলা আছে বৈধ প্রার্থী মৃত্যুবরণ করলে তফসিল বাতিল হবে। তবে বেগম খালেদা জিয়া এখনো বৈধ প্রার্থী নন। ফলে এই তফসিলে তার নামে কোনো প্রভাব পড়বে না।”
তিনি আরও জানান, বিএনপি ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট আসনগুলোতে বিকল্প প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে, ফলে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কোনো আইনি জটিলতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা নেই।
নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, “বিষয়টি আরপিও অনুযায়ী যাচাই করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়সীমা ২৯ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে বগুড়া, দিনাজপুর ও ফেনীর আসনে খালেদা জিয়ার নামে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয় এবং প্রতিটি আসনে বিকল্প প্রার্থীও রাখা হয়েছে।






























