৯ জুন লন্ডন যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। গুঞ্জন রয়েছে এ সময় তার সঙ্গে দেখা হতে পারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিষয়টি এখনো প্রধান উপদেষ্টার সফরসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
বুধবার বিকেলে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী জানান, এ সফরে যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো ইউরোপ সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
লন্ডন সফর ঘিরে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিকসহ নানা অঙ্গনেই আলোচনা রয়েছে লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা হতে পারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক থাকলেও এখন পর্যন্ত এ বিষয়টি সূচিতে অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘বিএনপি, সরি, আমি কোনো রাজনৈতিক দলের নাম করতে চাই না। কিন্তু যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ বলতে ওখানে যারা রাজনীতির সাথে আছেন, সেটা কনজারভেটিভ হোক বা লেবারের হোক অথবা অন্য কোনো দলের হোক, মানে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক ব্যক্তি যারা আছেন, তাদের সাথে মিটিংয়ের কথা বলেছি। আসলে বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলের নেতার সঙ্গে মিটিংয়ের বিষয়টি আমার জানা নেই।’
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে যুক্তরাজ্যে পালিয়ে যাওয়া অভিযুক্তদের দেশে ফেরানোর বিষয়টি শীর্ষ পর্যায়ে আলোচনার সুযোগ নেই বলে জানান ভারপ্রাপ্ত সচিব।
১১ জুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের। তবে এবারের সফরে কোনো সমঝোতা স্মারক বা চুক্তি হচ্ছে না বলে জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া ১২ জুন যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রধান উপদেষ্টা। একই দিন বিকেলে সেন্ট জেমস প্রাসাদে রাজার হাত থেকে কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড নেবেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।