• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

নির্বাচন নিয়ে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচল আছে : সিইসি


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২৩, ১০:৩৯ এএম
নির্বাচন নিয়ে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচল আছে : সিইসি
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। ছবি “ সঙগৃহীত

নির্বাচন নিয়ে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচল আছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, “নির্বাচন নিয়ে দেশ সংকটে। বিদেশি শক্তির থাবা রয়েছে। গণতন্ত্র বাঁচাতে হলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে।”

সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকালে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির সদস্যের নির্বাচনী আইনবিধি ও কর্মপদ্ধতিবিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, “নির্বাচনের দিনটি গুরুত্বপূর্ণ। হয় সফল, না হয় ব্যর্থ হব। বিতর্ক হবে না, এমন ফলাফল চায় নির্বাচন কমিশন। তবে আমরা অবশ্যই সফল হবো। আমরা গ্রহণযোগ্য ভোট দেখতে চাই।”

নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া বিভিন্ন বিবৃতির প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, “আমাকে বাঁচাতে হলে, জনগণকে বাঁচাতে হলে, গার্মেন্টসকে বাঁচাতে হলে, সাধারণ জনগণকে বাঁচাতে হলে, যে দাবিটা আমাদের, জনগণের পাশাপাশি বাহিরের, ওরা খুব বেশি দাবি করেনি, ওদের একটাই দাবি যে- বাংলাদেশের আসন্ন সাধারণ নির্বাচন ফ্রি ফেয়ার হতে হবে। কোনো রকম কারচুপির আশ্রয় নেওয়া যাবে না।”

সিইসি বলেন, “এই নির্বাচনের ফেয়ারনেসকে উপলক্ষ্য করে আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিভক্ত হয়ে গেছে। এটি কাঙ্ক্ষিত ছিল না। সেজন্যই বলা হয় ক্রেডিবল ইলেকশন। ইলেকশন জিনিসটা কিন্তু বিশ্বাসযোগ্য, চোখে দেখা যায় না, যাবেও না। সার্বিকভাবে যদি জনগণ বলে থাকেন এবারের নির্বাচনটা ফ্রি ফেয়ার এবং ক্রেডিবল হয়েছে, তাহলে এটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।”

কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, “সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষ্মীপুরে উপনির্বাচনে সিল মারা হয়েছে। আমরা প্রতিহত করতে পারিনি। এটি লজ্জার। সিল মারাটা নির্বাচনের সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে। পেশিশক্তির ব্যবহার করা, কালো টাকা ব্যবহার করা এবং কারচুপি করা, দীর্ঘদিন ধরে চর্চার মাধ্যমে একটা অপসংস্কৃতির চর্চা হয়ে গেছে। ক্রমান্বয়ে এ থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। আমরা নিরন্তর চেষ্টা করছি।”

Link copied!