ঢাকা-১৭ আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ। এখন চলছে গণনা। সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে ব্যালটের মাধ্যমে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৪ মে অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা সেনানিবাসের একাংশ নিয়ে আসনটি শূন্য হয়। এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন আট প্রার্থী।
তারা হলেন, আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ আলী আরাফাত (নৌকা), জাতীয় পার্টির সিকদার আনিসুর রহমান (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র আশরাফুল হোসেন আলম (একতারা), জাকের পার্টির কাজী রশিদুল হাসান (গোলাপ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আক্তার হোসেন (ছড়ি), স্বতন্ত্র তরিকুল ইসলাম ভূঁইয়া (ট্রাক), বাংলাদেশ কংগ্রেসের রেজাউল করিম স্বপন (ডাব) এবং তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান (সোনালি আঁশ)।
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে সরাসরি মনিটরিং করে ইসি। এ আসনে ১২৪টি ভোটকেন্দ্রের অধীনে ৬০৫টি ভোটকক্ষের মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ২৫ হাজার ২০৫। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৭১ হাজার ৬২৫ জন ও নারী ভোটার এক লাখ ৫৩ হাজার ৫৮০ জন।
ইসির তথ্যানুযায়ী, এ উপনির্বাচনের সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র পাহারায় ২১ জনের পুলিশ ও আনসারের সমন্বয়ে ফোর্স নিয়োজিত ছিলেন। তারা দায়িত্ব পালন করবেন মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) পর্যন্ত। তবে অঙ্গীভূত আনসার পাঁচ দিনের জন্য নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের ১৫ টিম, র্যাবের ৬ টিম ও ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়। নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করার জন্য নিয়োগ করা হয় ২৫ জন নির্বাহী ও ৫ বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট।
এর আগে উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে এ সংসদীয় আসনে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি শনিবার (১৫ জুলাই) সকাল থেকে এ নির্বাচনী এলাকায় সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা বন্ধ এবং মধ্যরাতে মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তবে, মহাসড়কগুলো এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকে। এ ছাড়া নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, নির্বাচন পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী এবং জরুরি সেবার কাজে ব্যবহৃত যানবাহনের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা শিথিল থাকে।