বিএনপির গাড়িবহরে হামলা

স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতাকে পিটিয়ে হত্যা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪, ০৭:১৮ এএম
স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতাকে পিটিয়ে হত্যা

গোপালগঞ্জে বিএনপির গাড়িবহরে হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে দলটির মিডিয়া উইং। ফেসবুকে বিএনপির মিডিয়া উইং পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে দাবি করা হয়, “গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহরে ‘আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের’ হামলায় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদার নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, তার সহধর্মিণী ও তাদের দুই ছেলে গুরুতর আহত হয়েছেন।”

নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. আনিচুর রহমান ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সেলিমুজ্জামান সেলিম।

এদিকে হামলার ঘটনায় সময় টিভির চিত্র সাংবাদিক এইচ এম মানিকসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ জন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ বিএনপির নেতাকর্মীদের।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিকদার শহিদুল ইসলাম লেলিন অভিযোগ করেন, ঘোনাপাড়া এলাকায় গাড়িবহর পৌঁছালে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমিন এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কদরের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় বিএনপির অনেক নেতাকর্মী এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। এ ধরনের সন্ত্রাসী ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি।

স্থানীয়রা জানান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী তার নিজ বাড়ি টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছিলেন। তার আগমন উপলক্ষে জেলা শহরের ঘোনাপাড়া এলাকায় পথসভার আয়োজন করেন স্থানীয় বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ৩টায় জেলা শহরের বেদগ্রাম এলাকায় পথসভা শেষে ৪টার দিকে ঘোনাপাড়া উদ্দেশ্যে রওনা হন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় ঘোনাপাড়ায় তাদের গাড়িবহর পৌঁছালে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালান।

এ সময় ছবি নিতে গেলে সময় টিভির চিত্র সাংবাদিক এইচ এম মানিককে মারধর ও ক্যামেরা ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় বিএনপির বহরের ১০টি গাড়ি ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। পরে শওকত আলী দিদারকে বেধড়ক পিটিয়ে সড়কের পাশে ফেলে রাখে হামলাকারীরা। তাকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে গোপালগঞ্জে হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

Link copied!