• ঢাকা
  • বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পদ্মা রেল সেতুতে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২৩, ১২:৪১ পিএম
পদ্মা রেল সেতুতে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন

স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে বাসের পরে এবার খুলল রেল চলাচলের পথ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের স্বপ্ন পূরণ হলো।

বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গতিতে ঘণ্টায় প্রায় ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন ছুটবে ৮২ কিলোমিটারের এ পথে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১১টায় মাওয়া রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছান। এরপর প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য শেষে সকাল ১২টা ২৩ মিনিটে মাওয়া রেলওয়ে স্টেশন প্রান্ত থেকে বহুল কাঙ্ক্ষিত এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পরে মাওয়া প্রান্ত থেকে ট্রেনে চড়ে ভাঙ্গা স্টেশনে যাবেন।

সেখানে থেকে ভাঙ্গায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেবেন তিনি।

প্রকল্পের বিবরণে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেল ট্র্যাক নির্মাণ করছে। এর ৮২ কিলোমিটার অংশ ঢাকা ও ভাঙ্গাকে সংযুক্ত করে আগামীকাল খুলে দেওয়া হবে এবং এর যশোর সংযোগকারী অবশিষ্ট অংশটি আগামী বছরের জুনে চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এর আগে, পদ্মা সেতুতে পাথরহীন রেললাইনের কাজ শেষ হওয়ার পর গত ৪ এপ্রিল ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্ত পর্যন্ত ট্রায়াল ট্রেন চালায় বাংলাদেশ রেলওয়ে।

গত বছরের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ নির্মাণ প্রকল্প’-এর আওতায় ঢাকা ও যশোরের মধ্যে রেল সংযোগ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬.৮০ কোটি টাকা। এতে চীনের এক্সিম ব্যাংক ২১ হাজার ০৩৬.৭০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে।

প্রকল্পের বিশদ বিবরণে বলা হয়েছে, সমাপ্ত হওয়ার পর, রেল যোগাযোগ পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দেশের মধ্য ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী শহরের প্রবেশপথ আরও বর্ধিত হবে, যা মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর এবং নড়াইল জেলার নতুন এলাকাকে যুক্ত করবে। প্রকল্পটি ঢাকা-যশোর-খুলনাকে ২১২.০৫ কিলোমিটার সংক্ষিপ্ত রুট দিয়ে বিকল্প রেলপথ সংযোগ স্থাপন করবে।

এটি বাংলাদেশে ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আরেকটি উপরুট স্থাপন করবে এবং জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মালবাহী ও বিজি কনটেইনার ট্রেন পরিষেবা চালু করবে। এই রুটটি কন্টেইনার বহনের জন্য গতি এবং লোড সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হবে।

Link copied!