• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫
বিদেশে অর্থ পাচার

জি কে শামীমের সর্বোচ্চ সাজা চায় রাষ্ট্রপক্ষ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২৩, ০৫:৩২ পিএম
জি কে শামীমের সর্বোচ্চ সাজা চায় রাষ্ট্রপক্ষ

বিদেশে অর্থ পাচার মামলায় এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমসহ ৮ জনের ১২ বছরের কারাদণ্ড চেয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

সোমবার (৬ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে যুক্তি উপস্থাপন শেষে আইনজীবী মাহবুবুল হাসান এই দাবি তুলে ধরেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মাহবুবুল হাসান বলেন, “আগামী ১৫ মার্চ এই মামলায় আসামিদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু হবে এবং মে মাসে এ মামলার রায় হবে বলে আশা করছি।”

মাহবুবুল হাসান জানান, অস্ত্র আইনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া শামীম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের এ মামলার অভিযোগ ‘প্রমাণ করা গেছে’।

জি কে শামীম ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন দেলোয়ার হোসেন, মোরাদ হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম, কামাল হোসেন, সামসাদ হোসেন ও আনিছুল ইসলাম।

গত ১৭ জানুয়ারি আত্মপক্ষ শুনানিতে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ‘ন্যায়বিচার’ প্রার্থনা করেন। ৯ দিন পর ২৬ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করে।

গত ২১ ডিসেম্বর মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। এর আগে অভিযোগপত্রে থাকা ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্য নেয় আদালত।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলার সময় ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিকেতনের বাসা থেকে শামীমকে আটক করা হয়। ওই ভবন থেকে নগদ ১ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার ১০টি এফডিআর, ৩২টি ব্যাংক হিসাবের চেক বই, আটটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ পাওয়ার কথা জানানো হয় অভিযান শেষে।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরলে জি কে শামীমের উত্থান হয়। তিনি নিজেকে যুবলীগ নেতা দাবি করলেও আওয়ামী লীগের এই সহযোগী সংগঠনটি তা অস্বীকার করে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, শামীম তার দেহরক্ষীদের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের টেন্ডারবাজি, মাদক ও জুয়ার ব্যবসাসহ স্থানীয় টার্মিনাল, গরুর হাটবাজারে চাঁদাবাজি করে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থের মালিক হয়েছেন। বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশেও পাচার করেন তিনি।

তদন্ত শেষে পুলিশের অপরাধ তদন্ত সংস্থা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ ২০২০ সালের ৪ আগস্ট আদালতে জিকে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। সেটি গ্রহণ করে ১০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ আসে।

শামীমের বিরুদ্ধে মোট মামলার সংখ্যা তিনটি। এর মধ্যে গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইনে সাত দেহরক্ষী ও তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। মাদক মামলার নিষ্পত্তি এখনো হয়নি।

Link copied!