২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবের পর বাজারে এখন পর্যন্ত কোনো প্রভাব পড়েনি। এবারের বাজেটে বেশ কিছু পণ্য ও সেবার ওপর বাড়তি কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে অনেক পণ্য ও সেবার মূল্য বেড়ে যাওয়া আশঙ্কা করা হচ্ছে। একইভাবে অনেক পণ্যের দামও কমতে পারে।
শনিবার (৩ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায় পূর্বের দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের পণ্য।
অ্যালোমিনিয়াম পণ্যের দাম গত ৬ মাসে কেজিতে দেড়শো টাকা বেড়েছে উল্লেখ করে এক ব্যবসায়ী বলেন, “বাজেট তো হলো দুই দিন আগে। কিন্তু এসব পণ্যের দাম তো বাড়ছে গত ছয় মাস আগে। বাজেটের পর আজকে মাল আনলাম। আগের দামেই এনেছি, এখনো বাড়েনি।”
সাধারণত সব ধরনের খেজুর বাইরের দেশ থেকে আনা হয়। খেজুরে বাজেটের প্রভাব জানতে চাইলে এক ব্যবসায়ী বলেন, “দাম আগের মতোই আছে। নতুন দামে মাল এলে আমরাও সেই দামে বিক্রি করব। বাদাম আগে ছিল এক হাজার টাকা কেজি, এখন হয়েছে চৌদ্দশো। বাজেটে দাম বাড়লে আবারও দাম বাড়বে।
বাজেটে মাংস, সাবান-শ্যাম্পু, ডায়াপার বা ন্যাপকিনের মতো কিছু পণ্যের দাম কমার কথা থাকলেও আগের দামেই বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। গরুর দাম বেশি উল্লেখ করে এক মাংস ব্যবসায়ী বলেন, “সামনে ঈদ। গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে ৩ হাজার টাকা বেশি দিয়ে গরু আনতে হচ্ছে। আমরা যদি কমে আনতে পারি, তাইলে আমরাও কমাইয়া দিমু। তবে চামড়া কিছুটা বাড়তি দামে বিক্রি করলে মাংসের দাম কিছুটা কমানো যেত।”
আমরা যদি কম দামে মাল পাই, তাহলে কম দামেই দেব উল্লেখ করে সোনালী জেনারেল স্টোরের মালিক বলেন, “এখনো আগের মাল আছে। যেহেতু এসব মাল প্রতিদিন আমরা নেই না। দাম কমলে সেভাবেই দেব।”
একইভাবে আগের মূল্যেই বিক্রি হচ্ছে ডায়াপার, ন্যাপকিন, সাবান, শ্যাম্পু, দেশি এলইডি বাল্ব। বাজেটে দাম কমা বাড়ার কোনো প্রভাব কারওয়ান বাজারে দেখা যায়নি।