রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবে ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও তিন কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে তীব্র যানজটে স্থবির হয়ে পড়েছে পুরো মিরপুর সড়ক।
রোববার (৫ মার্চ) বেলা পৌনে ১১টার দিকে সায়েন্স ল্যাবে ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেখানে উৎসুক জনতা ভিড় করলে পুলিশ পুরো এলাকা ঘিরে রাখে।
এদিকে দুপুর একটার দিকে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আইডিয়াল কলেজ, ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়ায়। এর আগে কয়েক দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের পর থেকে ল্যাবএইড হাসপাতালের পেছনের সড়ক (গ্রিন রোড) ও মিরপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
মিরপুর সড়ক ঘিরে আশপাশের সকল সড়কের মুখগুলোতে জট সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন চলতি পথের যাত্রীরা।
তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের উপ কমিশনার সাহেদ আল মাসুদ বলেন, “মিরপুর সড়ক এখন প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। পুলিশ চেষ্টা করছে আশপাশের সড়কগুলোতে ডাইভারশন করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে।”
নিউ মার্কেট থানার উপপরিদর্শক মাসুদুর রহমান বলেন, “সংঘর্ষের কারণে সায়েন্স ল্যাব মোড়, সেন্ট্রাল রোড়, ধানমণ্ডি ১ এবং ২ নম্বর সড়কসহ আশেপাশের সড়কগুলো যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।”
মিরপুর সড়ক ঘিরে আশপাশের সকল সড়কের মুখগুলোতে জট সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন চলতি পথের যাত্রীরা।
সাভার থেকে আসা সালাম নামের এক অসুস্থ ব্যক্তি পঙ্গু হাসপাতালে এসে ডাক্তার দেখাতে পারেননি। বৈশাখী পরিবহনে গাবতলীতে সময় মত পৌঁছালেও সেখান থেকে পঙ্গু হাসপাতালে যেতে তার দেড় ঘণ্টা লাগে।
ততক্ষণে ডাক্তার চলে গেছেন বলে জানান সালাম। তিনি বলেন, “তাকে সোমবার আবার ডাক্তার দেখাতে যেতে বলা হয়েছে।”
রাস্তার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে জানিয়ে ট্রাফিক রমনা বিভাগের উপকমিশনার জয়নুল আবেদীন বলেন, “মিরপুর রোডে যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। আমরা কিছুটা ব্যবস্থা করেছি। একটা করে হলেও গাড়ি পাস করছে। গাড়ির চাপও আছে প্রচুর। এর প্রভাব আশেপাশের সড়কগুলোতে পড়েছে।”
আপনার মতামত লিখুন :