• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫
রোগীর মৃত্যু

ল্যাবএইডের এমডিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২৩, ০৮:২৪ পিএম
ল্যাবএইডের এমডিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

ভুল চিকিৎসায় তাহসিন হোসেইন (১৭) নামের এক কিশোরের মৃত্যুর অভিযোগে রাজধানীর ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ এম শামীমসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।

সোমবার (২৬ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারাহ দিবা ছন্দার আদালতে ভিকটিমের বাবা মনির হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

আদালত ধানমন্ডি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী তানভীর আহমেদ সজীব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের সার্জন ডা. মো. সাইফুল্লাহ, সহকারী সার্জন ডা. মাকসুদ, ডা. সাব্বির আহমেদ, ডা. মোশাররফ, ডা. কনক ও হাসপাতালের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো. শাহজাহান।

মামলার আরজিতে বাদী উল্লেখ করেন, তার ছেলে তাহসিন কিছু দিন থেকে অসুস্থ বোধ করায় গত ২৭ মার্চ তাকে ল্যাবএইডের ডা. সাইফুল্লাহকে দেখানো হয়। তিনি তাৎক্ষণিক তার ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, রোগীর অবস্ট্রাক্টিভ স্মল গাট বা নাড়ির প্যাঁচ রয়েছে। যার কারণে পেটে ব্যথা এবং মল ত্যাগ করতে পারছে না। দ্রুত অস্ত্রোপচার করতে হবে। পরে গত ২৮ মার্চ অস্ত্রোপচার করা হয়।

এরপর তাহসিনের অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. মাকসুদ বাদীকে জানান অস্ত্রোপচার সফল হয়নি। রোগীকে সুস্থ করতে হলে আবার অপারেশন করতে হবে। এরপর ৬ এপ্রিল দ্বিতীয়বার অস্ত্রোপচার করেন ডা. সাইফুল্লাহ। দ্বিতীয়বার অপারেশনের পরেও রোগীর অবস্থা খারাপ হতে থাকে। দীর্ঘ তিন মাস চিকিৎসা চলার পর গত ২৩ জুন ভিকটিমের মৃত্যু হয়। তিন মাসে তাকে ১৪৪ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়। চিকিৎসা ব্যয় হিসেবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রায় ২৭ লাখ টাকা বিল করে। এর মধ্যে ১০ লাখ ৬৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে হাসপাতাল থেকে তার সন্তানের লাশ গ্রহণ করে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।

এ দিন তাহসিনের বাবা মনির হোসেন বলেন, “আমি ডা. সাইফুল্লাহকে অনেকবার জিজ্ঞেস করছি আমার ছেলের সমস্যা কী? কিন্তু তিনি কোনোবারই সঠিক করে কিছু বলতে পারেননি। অথচ দুইবার অপারেশন করা হয়েছে। তিনি যে আমার ছেলের ভুল চিকিৎসা করেছেন, তা একশ ভাগ নিশ্চিত। এ সময়ে আমার ছেলেকে ১৪৪ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়েছে। আমি প্রথম অপারেশনের পর এখান থেকে রিলিজ নিয়ে ভারতে চিকিৎসা করাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ রোগীকে ছাড়পত্রও প্রদান করেনি।” এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, “চিকিৎসার নামে ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকরা আমার ছেলেকে তিলে তিলে হত্যা করেছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। আর কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয়।”

Link copied!