প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, “নির্বাচনের আগে বা পরে, সাম্প্রদায়িক সংঘাত হলে তার দায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিতে হবে।”
বুধবার (১১ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সঙ্গে আয়োজিত এক বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকের বিষয় তুলে ধরে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, “বৈঠকে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেছেন, বাংলাদেশে অনেক সময় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও সহিংসতা হয়েছে। এখনো ওনারা আশঙ্কা করেন আগামীতেও এই ধরনের সাম্প্রদায়িক সংঘাত ব সহিংসতা হতে পারে। আমাদের কাছে আবেদন রেখেছেন আমরা যেন বিষয়টা বিবেচনায় নেই এবং আমাদের দিক থেকে করণীয় যা আছে, তা যেন করি। আমরা বিষয়টাকে খুব গুরুত্বসহকারে নিয়েছি।”
সিইসি বলেন, “আমরাও এটাও বলেছি, মূলত বিষয়টা দেখবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে নির্বাচনের সঙ্গে বিষয়টা যখন সংশ্লিষ্ট হবে সেটুকু পর্যন্ত আমাদের সংশ্লিষ্টতা এসে যায়। আমরা চিঠি দিয়ে সরকারকে, ডিসি (জেলা প্রশাসক), এসপিদের (পুলিশ সুপার), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যারা যারা এর সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত, তাদের অবহিত করব। দেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেন কোনো সাম্প্রদায়িক সংঘাত বা সহিংসতা যাতে না হয়।”
কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, “আমরা এই ধরনের অমানবিকতাকে কখনোই প্রশ্রয় দিই না। আমরা এই ব্যাপারে তাদেরও অনুরোধ করেছি যে, সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আপনাদের শঙ্কার কথা ব্যক্ত করে রাখুন।”
বৈঠকে সংগঠনটির পক্ষ থেকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সংঘাত বা সহিংসতার আশঙ্কা করে সিইসির কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
বৈঠকে সিইসির সঙ্গে অন্য নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্তের নেতৃত্ব পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিল।