• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

অবরোধেও সবজির বাজারে স্বস্তি


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২৩, ০৬:০৭ পিএম
অবরোধেও সবজির বাজারে স্বস্তি
কারওয়ান বাজারে সবজি বিক্রি। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

বিএনপির ডাকা দুই দিনব্যাপী অবরোধেও স্বস্তি রয়েছে সবজির বাজারে। পর্যাপ্ত পণ্য মজুত থাকায় দাম স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, সবজির দাম গত কয়েকদিন ধরেই কমতে শুরু করেছে। হরতাল-অবরোধ চললেও বাজারে পণ্য সংকটে পড়বে না বলেও জানিয়েছেন তারা।

ব্যবসায়ীরা সবজির দাম স্বাভাবিক থাকার কথা জানালেও টমেটোর দাম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। তারা বলছেন, টমেটোর কেজি ১৪০-১৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। শীত মৌসুমে বাজারে টমেটোর মজুত পর্যাপ্ত থাকলেও দাম বেশিই রাখছেন ব্যবসায়ীরা।

রাজধানীর বনানী কাঁচা বাজারে সবজি কিনতে এসেছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রাজিব হোসেন। সবজির দামে স্বস্তি প্রকাশ করলেও টমেটোর দাম নিয়ে অভিযোগ আছে তার।

তিনি সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “এখন শীতের মৌসুম। বাজারে সব রকমের সবজি এসেছে। এখনই যদি আমরা কম দামে সবজি কিনতে না পারি তো কখন পাবো। শীতের শেষে পণ্য সংকট দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা আবার নতুন করে সব জিনিসের দাম বাড়িয়ে দিবে।”

তিনি আরও বলেন, “বাজারে এসে সব দোকানে দেখলাম টমেটো অনেক রয়েছে। তারপরও টমেটোর কেজি ১৫০ টাকা কেন সেটা ব্যবসায়ীরাই বলতে পারবেন। তবে টমেটোর কেজি ৮০-৯০ টাকা হলে আমাদের জন্য ভালো হতো।”

রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, সিম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা, আলু ৪২-৪৬ টাকা, নতুন আলু ১০০-১১৫ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৩৫-৪০ টাকা, মুলা ৪০-৪৫ টাকা, পটল ৪৫-৫০ টাকা, করল্লা ৫০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, লাল শাক প্রতি আটি ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা, পালংশাক ১৫ টাকা, মুলা শাক ১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

মহাখালী কাঁচা বাজারে সবজি বিক্রেতার সঙ্গে দাম নিয়ে কথা বলছিলেন মধ্য বয়সী এক যুবক। সবজির দাম শুনে না কিনেই অন্য দোকানে গিয়ে দাম শুনছিলেন তিনি। এভাবে দুই তিন দোকানে সবজির দাম জিজ্ঞেস করে বাজার থেকে বেরিয়ে যান তিনি। সবজির দাম নিয়ে জানতে চাওয়া হয় এই ক্রেতার কাছে। সংবাদ প্রকাশের কাছে নাম না বললেও দাম নিয়ে অভিযোগ করলেন প্রতিবেদকের কাছে।

তিনি বলেন, “সবজির দাম একেক বাজারে একেক রকম। আপনি বনানী কাঁচা বাজারে দাম সেখানে দেখবেন ৫-১০ টাকা বেশি। আবার কারওয়ান বাজারে যান সেখানে দেখবেন দাম ৫ টাকা কম। দাম নিয়ে অনেক সময় জায়গা বিবেচনা করা হয়। ভিআইপি এলাকায় সব সময়ই সব জিনিসের দাম বেশি। তবে আগের চেয়ে বাজারে সবজির দাম কমেছে এটা অস্বীকার করা যাবে না।”

তিনি আরও বলেন, “এখন আসেন ব্যবসায়ীদের অজুহাত প্রসঙ্গে। বাজারে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে দেখবেন নানা অজুহাত দেখাবে আপনার কাছে। এই সমস্যা, সেই সমস্যা, নানা সমস্যার কথা তাদের মুখে। শুধু ব্যবসায়ীদের মুখেই সমস্যার কথা শুনতে পাবেন।”

দাম নিয়ে ক্রেতাদের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হয় কয়েকজন ব্যবসায়ীদের কাছে। তারা সংবাদ প্রকাশকে বলেন, ক্রেতারা সব সময়ই দাম নিয়ে অভিযোগ করবেন এটাই স্বাভাবিক। গত কয়েকদিন ধরেই সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। তবু তারা যদি অভিযোগ করেন আমরা কি করবো।

উত্তরা আজমপুর কাঁচা বাজারের এক ব্যবাসায়ী সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “দাম বেশি হলে অভিযোগ, দাম কমলেও অভিযোগ। শীতের মৌসুমে সবজির দাম কমার পরও যদি অভিযোগ করা হয়, আমি মনে করি দাম দিয়ে সবজি কিনে ক্রেতাদের এমনি দেওয়া উচিত। তবু যদি তারা শান্তিতে থাকতে পারে।”

তিনি আরও বলেন, “আড়ত থেকে আমরা যে টাকা দিয়ে মাল কিনে আনি, তার চেয়ে সামান্য লাভে আমাদের বিক্রি করতে হয়। সবজি ব্যবসায় যে একেবারেই আহামরি লাভ বিষয়টা এমন নয়। হরতাল-অবরোধে পণ্য মজুত থাকায় দাম নাগালের মধ্যেই আছে বলে আমি মনে করি।”

Link copied!