• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

তাপপ্রবাহে গাউন পরা শিথিল আইনজীবীদের


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৪, ০৩:২৫ পিএম
তাপপ্রবাহে গাউন পরা শিথিল আইনজীবীদের
গাউন পরে কোর্টে আইনজীবীরা। ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে প্রচণ্ড গরমে আইনজীবীদের কালো গাউন পরা শিথিল করা হলো। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের আদেশ অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলার শুনানিকালে আইনজীবীদের গাউন পরিধানের আবশ্যকতা শিথিল করা হলো। এ নির্দেশনা ২১ এপ্রিল (রোববার) থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন ছুটি শুরু হয় গত ২৪ মার্চ থেকে। স্বাধীনতা দিবস, পবিত্র শবে কদর, পবিত্র ঈদুল ফিতর, নববর্ষসহ কোর্টের ছুটি শেষে রোববার থেকে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগ খুলছে।

তবে অবকাশের সময় জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টের কয়েকটি বেঞ্চে ও আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে বিচারিক কার্যক্রম চলেছে। এর মধ্যে দেশজুড়ে চলমান প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে মামলার শুনানিতে আইনজীবীদের গাউন পরার আবশ্যকতা শিথিল করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে গত শনিবার (১৯ এপ্রিল)।

এর আগে ৪ এপ্রিল অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত বা ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং আইনজীবীদের মামলা পরিচালনার সময় পরিধেয় পোশাকের বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের সব অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত বা ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং আইনজীবী ক্ষেত্রমতো সাদা ফুলশার্ট বা সাদা শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজ ও সাদা নেকব্যান্ড বা কালো টাই পরিধান করবেন। এ ক্ষেত্রে কালো কোট ও গাউন পরিধানের আবশ্যকতা নেই। এ নির্দেশনা ৮ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশব্যাপী চলমান প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে দেশের বিভিন্ন আইনজীবী সমিতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের আলোচনাক্রমে ওই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গেল বছরের ১১ মে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ চলাকালে ঢাকার আদালত–সংলগ্ন এলাকায় একজন আইনজীবীর মৃত্যু হয়। গরমে রাস্তায় অজ্ঞান হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্যরা। তিনি সমিতির একজন সদস্য ছিলেন। 

Link copied!