ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ড ষড়যন্ত্রের আভাস: শেখ পরশ

ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ড ষড়যন্ত্রের আভাস বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। তিনি বলেছেন, “বিএনপি-জামায়াত অগ্নিকাণ্ডে পারদর্শী এবং বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন তাদের জিজ্ঞাসা করলেই আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।” 

শনিবার (১৫ এপ্রিল) বেলা ১১টায় ধোলাইপাড় উচ্চবিদ্যালয় মাঠে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা’র ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, “সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। আজকেও ঢাকা সুপার নিউ মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এত ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ডের পেছনে ষড়যন্ত্রের হাত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য সরকারকে অনুরোধ করছি। কারণ, এত ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কোনো দুর্ঘটনা হতে পারে না। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করতে হবে। তাই বিএনপি-জামায়াতের সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”

২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, “বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে, সাংবাদিক ভাইদের হত্যা করেছে, সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষতি করেছে। ২০১৩-১৪ সালে ওরা অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। হাজার হাজার যানবাহন পুড়িয়েছে, শত শত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে।”

শেখ ফজলে শামস পরশ আরও বলেন, “মাত্র ৮ মাস পরে আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা সংসদ নির্বাচন। ওই নির্বাচনে আমার বিশ্বাস আপনারা নিশ্চয়ই তাদেরকেই ভোট দেবেন, যারা আপনাদের জীবনমান উন্নয়ন করেছে। আপনারা নিশ্চয়ই তাদেরকেই ভোট দেবেন, যাদের দ্বারা আপনাদের অধিকার নিশ্চিত হবে। আপনারা শেখ হাসিনার নৌকাকে ভোট দিলে আপনাদের জীবনমানের ধারাবাহিক উন্নতি অব্যাহত থাকবে। একটু যদি পেছনের দিকে তাকান দেখতে পাবেন বিএনপির সময় কী অবস্থা ছিল। আপনাদের আয় কত ছিল? রাস্তাঘাটের অবস্থা কী ছিল? শিক্ষার সুযোগ কী ছিল? চিকিৎসা ব্যবস্থা  কী ছিল?”

ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানার সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা’র সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, সদস্য মানিক লাল ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাকসুদুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক এমদাদুল হক এমদাদসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতারা।