• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রেতাশূন্য বাজারেও কমেনি মুরগির দাম


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১২, ২০২৪, ০১:১৭ পিএম
ক্রেতাশূন্য বাজারেও কমেনি মুরগির দাম

ঈদের আগে রাজধানীর বাজারগুলোতে হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছিল মুরগির দাম। ঈদের পরও তা কমেনি। এদিকে সবজির আগের তুলনায় বেড়েছে।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ঈদের পর এখনও বিক্রেতারা আসেননি। দোকানও খুব বেশি খোলা নেই। তবে কিছু কিছু মুরগি ও সবজির দোকান খোলা রয়েছে। ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম থাকায় বিক্রেতারা অলস সময় পার করছেন।

মুরগির দোকান ঘুরে দেখা যায়, ঈদের আগে বেড়ে যাওয়া দামেই এখনও মুরগি বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, সোনালি ৩৮০ টাকা, লাল লেয়ার ৩৪০ টাকা ও সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগেও এ একই দামে মুরগি বিক্রি হয়েছিল।

আমিরুর ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারে মুরগির সংকট রয়েছে। খাদ্য ও মুরগির বাচ্চার দাম বেশি। তারপরও মুরগি পাওয়া যাচ্ছে না। এক মাস আগে দুই হাজার মুরগি অর্ডার করে দুই ধাপে মাত্র এক হাজার ৩০০ মুরগি পেয়েছি। খামারিদের কাছে মুরগি নেই। ঈদে সব বন্ধ তাই এমন বাড়তি দাম। সব যখন খুলবে তখন আরও দাম বাড়বে।

এদিকে ঈদের আগের তুলনায় কিছুটা দাম বেড়েছে সবজির। বিক্রেতারা জানান, কিছু কিছু সবজিতে ৫-১০ টাকা ও কিছু কিছু সবজিতে ১৫-২০ টাকা দাম বেড়েছে। কিছু সবজির দাম অপরিবর্তিত আছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০ টাকা, লম্বা বেগুন ৭০-৮০ টাকা, গোল বেগুন ৫০-৬০ টাকা, টমেটো ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা, সজনে ডাঁটা ১৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০-৫০ টাকা, কাকরোল ১৪০-১৫০ টাকা, ঢেড়স ৪০-৫০ টাকা, পটল ৬০-৬৫ টাকা, করলা ৪০-৫০ টাকা, শসা ৩০-৪০ টাকা, গাজর ৫৫-৬০ টাকা, বরবটি ৫০-৬০ টাকা, উস্তা ৬০-৭০ টাকা, কাঁচা আম ১৪০-১৫০ টাকা, ঝিঙ্গে ৯০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৩০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ টাকা, পালং শাক প্রতি আঁটি ১৫ টাকা ও লাল শাক প্রতি আঁটি ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. জাকির বলেন, বাজারে ব্যাপারী ও পাইকারি বিক্রেতারা নেই। সবাই ঈদে বাড়িতে গেছেন। যার কারণে সবজির সরবরাহ কম। তাই দাম একটু বেশি। তবে সব সবজির দাম বাড়েনি। কিছু কিছু সবজির দাম বেড়েছে। এটা কমে যাবে।

বিকাশ বর্মন নামে আরেক ক্রেতা বলেন, ঈদের পর সবজির দাম বেড়েছে। ১৬০ টাকা করে সজনের দাম চাচ্ছে বিক্রেতারা। এ সময় এ সবজিটির দাম ১০০ টাকার নিচে হওয়া উচিত ছিল। আমরা বাজার করতে গিয়ে দামের কারণে অনেক কিছুই কিনতে পারি না। 

এদিকে ডিম, আলু, পেঁয়াজ, রসুন আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে প্রতি ডজন মুরগির ডিম ১২০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি ৭০ টাকা, পাবনার দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা, রাজশাহীর পেঁয়াজ ৬০ টাকা, ফরিদপুরের পেঁয়াজ ৫৬ টাকা, রসুন ২০০ টাকা ও আলু ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

Link copied!