সড়কে ২৪ ঘণ্টা সক্রিয় থাকবে পুলিশ : আইজিপি

ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ঘরে ফেরা মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ও নির্ধারিত সময়ে গমন নিশ্চিত করতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ২৪ ঘণ্টা সড়কে সক্রিয় থাকবেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

সোমবার (২৬ জুন) দুপুরে ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর গাবতলী স্থায়ী পশুর হাট সরেজমিন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, সড়কে সার্বক্ষণিক ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ওসিসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা সক্রিয় থাকবেন।”

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আরও বলেন, “ঈদুল ফিতরে সকলের সার্বিক সহযোগিতায় ঈদ যাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে পেরেছি। সাধারণ মানুষ আশ্বস্ত হয়েছেন ও যার যার গন্তব্যে নির্বিঘ্নে ও যথাসময়ে গমনাগমন করতে পেরেছেন। এবারের ঈদযাত্রাও নির্বিঘ্ন করতে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।”

আইজিপি বলেন, “অনেক সময় অভিযোগকারীকে যথাসময়ে সেবা দেওয়া সম্ভব হয় না। এ জন্য এবার সড়কে সক্রিয় থাকবে পুলিশের মোটরসাইকেল পেট্রলটিম। যাতে দ্রুত সময়ে অভিযোগ শোনা ও ব্যবস্থাগ্রহণ করা যায়।”

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, “মেট্রোপলিটন পুলিশ হাইওয়ে পুলিশ, টুরিস্ট পুলিশ, জেলা পুলিশ রেলওয়ে পুলিশ, র‍্যাব, আর্ম পুলিশ ব্যাটালিয়ন, নৌ পুলিশ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশসহ সকল ইউনিট একযোগে কাজ করছে। মালিক শ্রমিক, হাটের ইজারাদার ও যাত্রীদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, কেউ হয়রানি শিকার হচ্ছেন কিনা তা জানার চেষ্টা করেছি। এখন পর্যন্ত সবাই স্বস্তিদায়ক বলেছেন।”

যাত্রীদের উদ্দেশ্যে পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, “যে কোনো সমস্যায় প্রয়োজনে নিকটস্থ পুলিশে খবর দিন। অথবা ৯৯৯ এ ফোন করুন। আপনার অভিযোগ জানান। পুলিশ দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনার অভিযোগের নিষ্পত্তি করবেন।”

ঈদের ছুটিতে যারা ঢাকাসহ শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে যাবেন তাদের উদ্দেশ্যে আইজিপি বলেন, “আমরা ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য। বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ঈদ উপলক্ষে জনসমাগম বাড়বে। সে কারণে নিরাপত্তা নিশ্চিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ কর্মকর্তারা দিবা-রাত্রি দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।”

আইজিপি বলেন, “ঈদে যারা ঢাকা শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে যাবেন, তারা নিজেদের প্রয়োজনীয়, গুরুত্বপূর্ণ, মূল্যবান জিনিসপত্র সযত্নে ও নিরাপদে রেখে যাবেন। কেউ কোনো সমস্যায় পড়লে পুলিশকে জানান।”

এ সময় ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, অতিরিক্ত কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) ড. খ মহিদ উদ্দিন, ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুক অর রশীদ, সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।