• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০১ জুলাই, ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২, ০৫ মুহররম ১৪৪৬

সমৃদ্ধ ভবিষ্যত নিশ্চিতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩, ০৮:১১ এএম
সমৃদ্ধ ভবিষ্যত নিশ্চিতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
ছবি : বাসস।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার জন্য মর্যাদাপূর্ণ জীবন ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে আসার জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানে ভারত মন্ডপন সম্মেলন কেন্দ্রে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন ২০২৩-এ ‘এক পরিবার’ শীর্ষক অধিবেশনে বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, “বৈশ্বিক পরিবারের সমান সদস্য হিসাবে আমাদের অবশ্যই সকলের মর্যাদাপূর্ণ জীবন এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।”

এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আগামী দিনে একটি উন্নত বিশ্ব গড়ার লক্ষে জি-২০ নেতাদের কাছে পাঁচ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন। তিনি তাঁর প্রথম সুপারিশে বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা বাস্তবায়ন জি-২০ সহ সকল বহুপাক্ষিক উদ্যোগের আলোচ্যসূচির শীর্ষে থাকা উচিত।

শেখ হাসিনা তাঁর দ্বিতীয় সুপারিশে বলেছেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জি-২০-এর উচিত শুল্কমুক্ত, কোটা মুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার এবং একতরফা শুল্ক অগ্রাধিকারের বর্ধিতকরণ এবং মসৃণ ও টেকসই রূপান্তর নিশ্চিত করতে উত্তরণের পর একটি উল্লেখযোগ্য সময়সীমার জন্য ধারাবাহিক ভাবে ট্রিপস (টিআরআইপিএস) ছাড়ে সহায়তা করা।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর তৃতীয় মতামতে বলেন, জি-২০ কৃষিসহ প্রয়োজনীয় পণ্যের মসৃণ, সময়োপযোগী এবং অনিশ্চিত সরবরাহ নিশ্চিত করতে তাদের বাজার খোলা রেখে দুর্বল অর্থনীতির দেশগুলোর পাশে দাঁড়াতে পারে।

চতুর্থত, শান্তিপূর্ণ, ন্যায্য ও অন্তর্ভূক্তিমূলক সমাজ গঠনের জন্য বিশ্ব জনসংখ্যার অর্ধেক নারীর প্রতি সমান মনোযোগ দিতে হবে।

শেখ হাসিনা তাঁর চূড়ান্ত সুপারিশে বলেছেন, বিশ্বব্যাপী মানব উন্নয়ন নিশ্চিত করতে অংশীদার, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি খাত এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সহায়তায় দক্ষিণ-দক্ষিণ এবং ত্রিভুজাকার সহযোগিতা জোরদার করতে হবে।

বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতিকে বিবেচনায় রেখে একটি ন্যায্য ও সুষ্ঠু অর্থনৈতিক শৃঙ্খলার জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করার সময় এসেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, “আমি বিশ্বাস করি জি-২০ উন্নয়নশীল দেশগুলোর উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সহায়ক হবে।”

সরকারপ্রধান বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারি, নিষেধাজ্ঞা এবং পাল্টা নিষেধাজ্ঞা যা বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলাকে ব্যাহত করেছে এবং খাদ্য, জ্বালানি এবং সার সংকট সারা বিশ্বের মানুষের ওপর অসহনীয় জীবনযাত্রা চাপিয়ে দিয়েছে। যদিও আমরা এক বিশ্ব, এক পরিবারের কথা বলি, আমরা কি সেটা দেখানোর জন্য কিছু করছি? প্রতি রাতে ৮০ কোটিরও বেশি মানুষ, বা বিশ্ব জনসংখ্যার ১০ শতাংশ, ক্ষুধা নিয়ে ঘুমাতে যায়। যেখানে বিশ্ব প্রতি বছর সামরিক খাতে ১ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করে, অথচ ২৬ ঘণ্টার সামরিক ব্যয়ের মাত্র ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন দিয়ে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের জন্য খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব। বিশ্বব্যাপী বছরে নষ্ট হওয়া খাদ্য দিয়ে ২০০ কোটি মানুষের খাদ্যের জোগান দেওয়া সম্ভব।”

সূত্র : বাসস।

Link copied!