• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

‘অনিয়মের বিষয়টি ওবায়দুল কাদের সিসিটিভিতে দেখতে পারতেন’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২২, ০৬:১৪ পিএম
‘অনিয়মের বিষয়টি ওবায়দুল কাদের সিসিটিভিতে দেখতে পারতেন’

সিসিটিভি দেখে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এ কথা বলেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, “নির্বাচন বন্ধে হঠকারি কিছু করেনি নির্বাচন কমিশন। নিবিড় পর্যবেক্ষণ করেই নির্বাচন বন্ধ করা হয়েছে। আমরা সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করে প্রত্যক্ষ করেছি। খুব নিবিড়ভাবে প্রত্যক্ষ করার সুযোগ ও আধুনিক প্রযুক্তিগত সুবিধা এখানে আছে। সে বিষয়টা হয়তো অনেকেরই জানা নেই। যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা কমিশন নিয়েছে। কমিশন এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার কিন্তু এক নয়।”

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন ঢাকায় বসে সিসিটিভি দেখে ভোট বন্ধ করে দেওয়া কতটা যৌক্তিক—এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, “আগেই বলেছি, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমাদের সঙ্গে বসে প্রত্যক্ষ করতে পারতেন।”

সিইসি বলেন, “আপনারা জানেন যে দায়িত্ব গ্রহণের পর যতগুলো নির্বাচন করেছি সবগুলো নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করে অত্যন্ত সফলভাবে শেষ করতে সক্ষম হয়েছি। আপনারা আরও জানেন যে আমরা কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রের প্রতিটি কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করেছিলাম, যাতে ভোট-কক্ষে অবৈধ লোক প্রবেশ করে তার আঙ্গুল দিয়ে ভোট দিতে না পারে। এই সংক্রান্ত অভিযোগ আমরা পেয়েছি।”

উল্লেখিত সব নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিসিটিভি স্থাপনের ফলে এই অপরাধ একেবারেই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছিল বলে দাবি করেন কাজী হাবিবুল আউয়াল।

সিইসি বলেন, “গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের গুরুত্বের কারণে এখানেও ইভিএমে ভোটগ্রহণ ও প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের ভোট-কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। গতকাল (বুধবার) সকাল আটটায় যথারীতি ভোট শুরু হয়।”

আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কন্ট্রোল রুমে আমিসহ অন্যান্য কমিশনার, দায়িত্ব পালনকারী সচিবালয়ের কর্মকর্তারা ও কারিগরি সহায়তাকারী ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। ভোট শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা তিনটি কেন্দ্রে অনিয়ম দেখতে পাই। ভোট কক্ষে প্রার্থীর পুরুষ এজেন্টরা একই রকম গেঞ্জি (বুকে ও পিঠে প্রার্থীর মার্কা ইত্যাদি প্রিন্ট করা) পরে আছেন এবং নারী এজেন্টরা একই রকম শাড়ি পরা, যা আচরণ বিধিমালার ১০(ঙ) ভঙ্গের মধ্যে পড়ে।
 

Link copied!