পোস্টারের কারণে শহর দূষণ ও সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, “মেট্রোরেলের পিলার, এলভেটের এক্সপ্রেসওয়ে, পিলার, দেয়াল সবখানে শুধু পোস্টার আর পোস্টার। যেখানেই ফাঁকা সেখানেই পোস্টার লাগানো হচ্ছে। শহরের দৃশ্য যারা নষ্ট করছেন তাদের বিরুদ্ধে খুব শিগগিরই অভিযানে নামবে ডিএনসিসি।”
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) গুলশান ডিএনসিসির ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির পর থেকে ডিএনসিসি এলাকায় যত্রতত্র পোস্টার লাগানোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হবে জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, “আমরা সব ওয়ার্ডেই পোস্টার লাগানোর জন্য নির্দিষ্ট জায়গা করে দিচ্ছি। সেইসব নির্দিষ্ট স্থানেই পোস্টার লাগাতে হবে। অন্যথায় আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ইতোমধ্যে আমরা ১০টি স্থানে পরীক্ষামূলকভাবে পোস্টার লাগানোর নির্ধারিত স্থান করে দেওয়া হয়েছে। ক্রমান্বয়ে সব ওয়ার্ডেই এই ব্যবস্থা করা হবে।”
কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না হুঁশিয়ার করে মেয়র বলেন, “যারা প্রচারণার অংশ হিসেবে বিভিন্ন দেয়ালে পোস্টার লাগান, কোচিং সেন্টারের বিজ্ঞাপন হিসেবে সব জায়গায় যত্রতত্র পোস্টার লাগিয়ে রেখেছেন ও হাসপাতালের পোস্টার লাগিয়ে রেখেছেন তারা কেউ ছাড় পাবেন না। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান পরিচালিত হবে। পোস্টার, ব্যানার ও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট করার লিজ আপনাদের কেউ দেয়নি।”
এদিকে, মশার উৎপাত থেকে রাজধানীবাসীকে রক্ষা করতে এতদিন যে পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছিল তা ভুল ছিল বলে মন্তব্য করেছেন মেয়র আতিকুল। তিনি বলেন, “মশক নিধনে সঠিক পদ্ধতি প্রয়োগ করতে আরও সময় লাগবে। প্রতিটি ওয়ার্ড ভিত্তিক মশক নিধনে কাজ করতে হবে। ল্যাব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আপাতত পূর্বের পদ্ধতিতেই চলবে মশক নিধন। ল্যাব প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের জনবল প্রয়োজন।”
তিনি আরও বলেন, “এলাকা ভিত্তিক মশার ধরন শনাক্ত করে আলাদা আলাদা ওষুধ প্রয়োগ করা হবে। ল্যাব প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের জনবল প্রয়োজন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমাদের ল্যাব প্রতিষ্ঠায় কাজ চলছে।”
আপনার মতামত লিখুন :