• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

বিএনপি ইস্যু তৈরি করে ভারত বিরোধিতা করেছে : নানক


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২৪, ০৫:৫৩ পিএম
বিএনপি ইস্যু তৈরি করে ভারত বিরোধিতা করেছে : নানক
বক্তব্য রাখছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। ছবি : সংগৃহীত

জনবিচ্ছিন্ন হয়ে বিএনপি এখন সস্তা ইস্যু তৈরি করতে ভারতীয় পণ্য এবং ভারতের বিরোধিতা করছে বলে মনে করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা একটি কঠিন লড়াইয়ে রয়েছি, আমাদের এখন খুব সহজ সময় যাচ্ছে না। আবার এই বিএনপি মাথা চাঁড়া দিয়ে উঠেছে।”

শনিবার (২৩ মার্চ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, “মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. মঈন খানেরা যখন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বেকায়দায় পড়েছেন, তখনই সস্তা ইস্যু তৈরি করে ভারত বিরোধিতা করে ভারতীয় পণ্য বর্জনের কথা বলেছেন। এই ভারত পণ্য বর্জন, ভারত বিরোধিতা হলো ওদের রাজনৈতিক হালে পানি পাওয়ার জন্য অপচেষ্টা মাত্র। কিন্তু তারা জানে না, জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়া ভারত ইস্যুকে ঘিরে যে ‘ভারত জুজুর রাজনীতি’ করেছিল সেই বাংলাদেশ আজকে আর নেই।”

পাটমন্ত্রী বলেন, “১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে খুনিদের অবাধ বিচরণ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। যাদের আমরা মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত করেছিলাম, সেই ঘাতকদের অবাধ চারণভূমিতে পরিণত করেছিল জিয়াউর রহমান ও জেনারেল এরশাদরা। আজকের দিনে বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আবার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। জামায়াত-শিবির কিন্তু বসে নেই, ছাত্রলীগকে মনে রাখতে হবে ওরা নিঃশেষ হয়ে যায়নি। যখন আমি জিয়াউর রহমান, এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি, তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এবং সারা দেশে বলেছি একটি জাতি সাপ আমাদের পাশে পাশে চলছে। এই সাপটি যখন সুযোগ পাবে তখনই ছোবল দেবে, এই জাতি সাপ জামায়াতকে শুধু পিটুনি দিলে চলবে না, মাথায় আঘাত করে এই দেশ থেকে নিঃশেষ করে হবে।”

স্বাধীনতার ঘোষক প্রসঙ্গে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, “যারা বলেন, হুইসেল বাতি দিয়েছেন আর স্বাধীনতা এসে গিয়েছে। যারা ৫২, ৫৪ দেখেনি; যেই জিয়াউর রহমান ৫২, ৫৪, ৫৬, ৫৮, ৬৬, ৬৯ এবং ৭০-এর নির্বাচন দেখিনি। সেই জিয়াউর রহমান হঠাৎ করে এসে চট্টগ্রামের কালুরঘাটের বেতার কেন্দ্রে এসে স্বাধীনতার ঘোষণা করে ঘোষক হয়ে গেলেন। যদি জিয়াউর রহমান ঘোষক হয়, আমিও বরিশালে মাইকিং করেছিলাম বঙ্গবন্ধুর এই ঘোষণা; তাহলে তো আমিও ঘোষক। যদি জিয়াউর রহমান ঘোষক হয়, তাহলে অন বিহ্যাব অফ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলে স্বাধীনতার কথা বলে তাহলে কি জাহাঙ্গীর কবির নানক ঘোষক? তাহলে কি কলরেডি ঘোষক? এই হলো ইতিহাস বিকৃতি!”

Link copied!