আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছেন গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র এবং দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হওয়া জাহাঙ্গীর আলম।
সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুরের দিকে গণভবনে যান তিনি।
গণভবন সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সালাম করেন জাহাঙ্গীর। এরপর কান্নাজড়িত কণ্ঠে নিজের অন্যায়ের জন্য অনুশোচনা করে ক্ষমা চান তিনি।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাহাঙ্গীরকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করতে বলেন। দলের জন্য কাজ করতে নির্দেশ দেন।
জাহাঙ্গীর গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তাকে বাদ দিয়ে দল মনোনয়ন দেয় গাসিক মহানগরের সভাপতি আজমত উল্লা খানকে। মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাহাঙ্গীর ও তার মা জায়েদা খাতুন মনোনয়নপত্র জমা দেন।
দল থেকে বারবার তাকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে নির্দেশ দিলেও তা মানেননি জাহাঙ্গীর। পরে যাচাই-বাছাইয়ে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। তবে এতেও দমে যাননি জাহাঙ্গীর। মা জায়েদা খাতুনকে নিয়ে ভোটে নামেন। অবশেষে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নিজের মাকে মেয়র পদে বিজয়ী করেন তিনি।
এর আগে ২০২১ সালের ১৯ নভেম্বর একটি ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হলে জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। দল থেকে বহিষ্কারের ৭ দিন পর ২৫ নভেম্বর তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ভিডিওতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করতে এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতে দেখা যায় তাকে। পরে জাহাঙ্গীরের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২১ জানুয়ারি ক্ষমতাসীন দল তাকে সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা দেয়।
এরপরে গত ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হন মো. জাহাঙ্গীর আলম। তখন তাকে আওয়ামী লীগ থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়।