• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

‘বিনামূল্যে ইনসুলিন দেবে সরকার’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩, ০৯:৫৯ পিএম
‘বিনামূল্যে ইনসুলিন দেবে সরকার’

চিকিৎসাসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে সরকার এখন থেকে ডায়াবেটিস রোগীদের বিনামূল্যে ইনসুলিন দেবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “কমিউনিটি ক্লিনিক, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, মাতৃসদনের মাধ্যমে সরকার চিকিৎসাসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে। এ ছাড়াও ৩০ প্রকার ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। এখন থেকে যারা ডায়াবেটিসের রোগী তাদের আমরা বিনামূল্যে ইনসুলিন দিয়ে দেব, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাতে আমাদের দেশের মানুষ সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়।”

প্রধানমন্ত্রী  আরও বলেন, “বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে, দেশের সম্পদ লুট করেছে। সেই সম্পদ বিদেশে পাচার করে এখন আরাম-আয়েশে দিন কাটাচ্ছে। আর দেশের মানুষ যখন কষ্ট পায়, তখন তারা আরও কষ্ট দেয়। আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে। যারা বোমা মেরে, আগুন দিয়ে মানুষকে হত্যা করতে পারে তারা কখনো মানুষের কল্যাণ করতে পারে না। বিএনপি-জামায়াত বা ২০ দলীয় জোট যখনই ক্ষমতায় এসেছে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। আর আওয়ামী লীগ জাতির পিতার হাতে গড়া সংগঠন। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে দেশের মানুষের কল্যাণ হয়, ফসল উৎপাদন বাড়ে, মাছ উৎপাদন বাড়ে মানুষ খেয়ে-পরে সুখে থাকে।”

বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি জানিয়ে শেখ হাসিনা আরও বলেন, “গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ আর্থসামাজিকভাবে উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতির পিতার লক্ষ্য সামনে নিয়ে তার আদর্শে আমরা চলছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ গড়ে তুলছি। এই বাংলাদেশে একটি মানুষও ভূমিহীন থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না। কোনো মানুষ ক্ষুধার্ত থাকবে না।”

গত ১৪ বছরে দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে তা আগের ২৯ বছরেও হয়নি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত থাকার কারণেই এমন উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। আমরা চাই বাংলাদেশ আরো উন্নত হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী গড়ে উঠেছে। স্বাধীন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলাই ছিল জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের লক্ষ্য। ১৯৭৪ সালে তিনি প্রতিরক্ষা নীতিমালা করে দিয়ে যান। আমরা তারই ভিত্তিতে ফোর্সেস গোল্ড ২০৩০ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আমরা সেনাবাহিনীর সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্বিন্যাস করেছি। আমরা সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নে সর্বত্র কাজ করে যাচ্ছি।

অতীতের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী আঞ্চলিক ভাষায় বলেন, “এই হাওড় অঞ্চলে বর্ষাকালে নাও (নৌকায় চলাচল) আর শুকনাকালে পাও (হেঁটে চলা), এইতো অবস্থা ছিল। কিন্তু এখন আর সে অবস্থা নেই। এখন ১২ মাসই মানুষ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারে, সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি।”

সেনানিবাসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আতিথেয়তা গ্রহণে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কিশোরগঞ্জের বাড়িতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে প্রায় উনিশ পদের খাবার দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আপ্যায়ন করেন রাষ্ট্রপতি।

মিঠামইন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুল হক নূরুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, রাষ্ট্রপতির ছেলে স্থানীয় সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য জাকিয়া নূর লিপি ও কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন রাষ্ট্রপতির ভাগ্নে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নেহাল আহমেদ।

Link copied!