• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

‘গৃহস্থালির বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন যুগান্তকারী অর্জন’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২৩, ০২:৫০ পিএম
‘গৃহস্থালির বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন যুগান্তকারী অর্জন’

স্থানীয় সরকার বিভাগের নেতৃত্বে গৃহস্থালির বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের বর্জ্য নিষ্পত্তির প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা বাংলাদেশের জন্য এক যুগান্তকারী অর্জন বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুরে স্থানীয় সরকার বিভাগের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক আমিনবাজার ল্যান্ডফিলের ‘বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্লান্ট’ -এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি গ্রহণবিষয়ক এক সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এ কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন,  “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নতির পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সব মানুষের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ভোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রাম থেকে শহরে সর্বত্র বর্জ্য উৎপাদন বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বর্ধিত বর্জ্য নিষ্পত্তি করতে না পারলে দেশের সার্বিক পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দেবে।”

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, “ইনসিনারেশন ব্যবস্থা অনুসরণে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে বর্জ্য নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। যাতে পরিবেশ সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন থাকে। ঢাকার আমিনবাজার ল্যান্ডফিলে এই বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্লান্ট নির্মাণ করা হবে। ৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রতিদিন ৩ হাজার টন মিক্সড বর্জ্য থেকে উৎপাদন করা হবে।”

স্পন্সর হিসেবে চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন বিদ্যুৎ উৎপাদনের এ ইনসিনারেশন প্লান্টে যুক্ত থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এ প্রকল্প আগামী ২৪ মাসের মধ্যে বাস্তবায়িত হলে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড ২৫ বছর পর্যন্ত ক্রয় করবে।”

বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ বাংলাদেশের জন্য সম্পূর্ণ নতুন ধারণা ও অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম জানান, টেকসই উন্নয়নের জন্য এ ধরনের প্রকল্পের কোনো বিকল্প নেই। এ প্রকল্পের মাধ্যমে যেমন আমাদের বর্জ্য নিষ্পত্তি হবে, তেমনি বিদ্যুতের মতো অতি প্রয়োজনীয় শক্তিও আমরা উৎপাদন করতে পারব, যা আমাদের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদার কিছুটা সংকুলান হবে। ২০২৫ সালের অক্টোবর থেকে এ প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।”

Link copied!