• ঢাকা
  • সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ৪ জ্বিলকদ ১৪৪৫

গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজের টিকা উৎপাদন হবে দেশে


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ৯, ২০২৩, ০৭:০৬ পিএম
গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজের টিকা উৎপাদন হবে দেশে
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই)-এর পরিচালনা বোর্ডের ৪৬তম সভায় উপস্থিত সদস্যরা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, দেশে শিগগিরই গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি)-এর টিকা  উৎপাদন শুরু হবে।

বুধবার (৯ আগস্ট) বিকেলে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই)-এর পরিচালনা বোর্ডের ৪৬তম সভায় মন্ত্রী এ কথা জানান। বিএলআরআই পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী আরও বলেন, “লাম্পি স্কিন ডিজিজ নিয়ন্ত্রণে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। দেশের যেখানেই গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ দেখা যাবে সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, বিএলআরআই বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানকে আমরা যত গতিশীল করতে পারব, যত আমাদের গবেষণা বাড়বে, তত প্রাণিসম্পদ খাতকে আমরা সমৃদ্ধ করতে পারবো। এ প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজের ভ্যাকসিন সিড উদ্ভাবন করেছে। এটি দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের অত্যন্ত বড় অর্জন। এর মাঠ পর্যায়ের পরীক্ষা-নিরিক্ষা শেষ পর্যায়ে রয়েছে। শিগগিরই এ ভ্যাকসিন সিড প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হবে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান এই সিডের মাধ্যমে লাম্পি স্কিন ডিজিজের বহুসংখ্যক টিকা উৎপাদনে সক্ষম হবে। এ টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে সহজেই লাম্পি স্কিন ডিজিজ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে ”

মন্ত্রী আরও জানান, এক সময় আমাদের লক্ষ্য ছিল শুধু প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি করা। এখন আমাদের লক্ষ্য প্রাণিসম্পদের গুণগত মান বৃদ্ধি এবং এর বহুমুখী ব্যবহার ও প্রক্রিয়াকরণ। এক্ষেত্রে বিএলআরআই এর বিজ্ঞানীরা নিরলসভাবে কাজ করছে।

তিনি বলেন, “মাছ, মাংস, ডিম উৎপাদনে আমরা শুধু সক্ষমতা অর্জনই নয় বরং উদ্বৃত্ত অবস্থানে রয়েছি। পৃথিবীর অনেক দেশে আমাদের মাংসের চাহিদা রয়েছে। তারা আমাদের গবাদিপশুর রোগমুক্ত অঞ্চল থেকে মাংস আমদানি করতে চায়। রোগ মুক্ত অঞ্চল সৃষ্টি করতে হলে আমাদের গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম গতিশীল করতে হবে। গবাদিপশুর রোগ নির্মূল করতে না পারলে আমরা প্রত্যাশিত মাত্রায় মাংস রপ্তানি করতে পারবো না। এজন্য গবাদিপশুর রোগ প্রতিরোধ করার ওপর সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। এক্ষেত্রে বিএলআরআই ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে “

বিএলআরআই পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ও ময়মনসিংহ-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. মোসলেম উদ্দিন, পরিচালনা বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ও বিএলআরআই-এর প্রাক্তন মহাপরিচালক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম খান, পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. এমদাদুল হক তালুকদার, পরিচালনা বোর্ডের সদস্য সচিব ও বিএলআরআই-এর মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ও প্যারাগন গ্রুপ লিমিটেডের পরিচালক ইয়াসমিন রহমান, পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ও বিএলআরআই-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শাকিলা ফারুক, পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ও বিএলআরআই-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান এই বোর্ড সভায় উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!