• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

নৌকার টিকিট পেলেন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২৩, ০১:০৪ পিএম
নৌকার টিকিট পেলেন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-২ আসনে নৌকার টিকিট পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি আবদুল কাহার আকন্দ। আসনটিতে বর্তমানে সংসদ সদস্য হিসেবে রয়েছেন সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ।

রোববার (২৬ নভেম্বর) নৌকার মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ।
মুক্তিযোদ্ধা কাহার আকন্দ বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ছাড়াও ২০০৪ সালে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার তদন্ত করেছেন। এ ছাড়া ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহ মামলাসহ অনেক আলোচিত মামলারও তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন তিনি।

নূর মোহাম্মদ কিশোরগঞ্জ-২ আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার টিকিট পেয়ে এমপি হন। তবে গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে স্থানীয় রাজনীতিতে তিনি স্বস্তিতে ছিলেন না। আসনটির সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিনের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব চলছিল। দুই পক্ষের মধ্যে নানা সময় সংঘাত, সহিংসতার ঘটনাও ঘটে।  

এবার নৌকার টিকিট পেতে আসনটি থেকে ওই দুই নেতা ছাড়াও আরও ১০ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। এদের মধ্য থেকেই শেষ পর্যন্ত দলীয় বিবেচনায় কাহার আকন্দকে বেছে নেওয়া হয়।

১৯৭৩ সালে পুলিশে এসআই হিসেবে যোগ দেন কাহার আকন্দ। ৪৬ বছর কর্মজীবনের বেশির ভাগ সময় অপরাধ তদন্ত সংস্থা- সিআইডিতে কাজ করেছেন তিনি।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তখন তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তিনি বরখাস্ত হন। সাত বছর পর ২০০৯ সালে তিনি আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে চাকরি ফিরে পান। তিনি একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলারও তদন্ত করেন। তার তদন্তের পর ২০১৮ সালে ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড ও আরও ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।

কটিয়াদী-পাকুন্দিয়ায় নেতাকর্মীদের মাঝে আনন্দ-উচ্ছ্বাস 
নৌকা প্রতীক পাওয়ায় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের প্রতিটি ইউনিয়নে আনন্দ মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

রোববার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া উপজেলার সব কটি ইউনিয়নে আনন্দ মিছিল বের করে। আনন্দ মিছিল শেষে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নিজেরা মিষ্টি বিতরণ করেন। 

Link copied!