খুব শিগগির বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি হবে বলে আশা ব্যক্ত করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেছেন, “ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। এই চুক্তিকে বাস্তবে রূপ দিতে দুই দেশ ‘ট্রেড নেগোশিয়েনস কমিটি’ গঠন করেছে এবং এখন পর্যন্ত তিনটি সভা করেছে। আগামী মাসে ইন্দোনেশিয়ায় চতুর্থ সভা হবে। এই রাউন্ডে আলোচনা চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এর পরেই দুই দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী এই চুক্তিতে স্বাক্ষর হবে।”
রোববার (২ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
টিপু মুনশি জানান, দুই দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে আরও ঘন ঘন যোগাযোগের পরামর্শ দেন, যাতে তারা সম্ভাবনাময় খাত চিহ্নিত করে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেন। তৈরি পোশাক, ওষুধ, চামড়াজাত পণ্যসহ অন্যান্য বাংলাদেশি পণ্যের প্রবেশের অনুমতি দিয়ে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার আহ্বান জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৭৮ দশমিক ৫৭ মিলিয়ন ইউএস ডলারের পণ্য ইন্দোনেশিয়ায় রপ্তানি করেছে। অন্যদিকে, দেশটি থেকে আমদানি করেছে প্রায় ৩ হাজার ৮২ ইউএস ডলার সমমূল্যের পণ্য। এই বিশাল বাণিজ্য ঘাটতিকে ভারসাম্য পর্যায়ে আনতে আরও বেশি বাংলাদেশি পণ্য ইন্দোনেশিয়ার বাজারে প্রবেশের সুযোগ দিতে হবে।”
ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা সহজীকরণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “উভয়ের দেশের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ, বন্ধুপ্রতীম এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ। দুই দেশেই পর্যটন খাতে ব্যাপক সম্ভাবনা আছে। ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার মাধ্যমে উভয় দেশের মানুষ ভ্রমণ করার সুযোগ পাবে এবং অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।”
বাণিজ্যমন্ত্রী দুই দেশের ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর মধ্য সম্পর্ক উন্নয়ন এবং বাণিজ্য প্রসারে এপেক্স চেম্বারের মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষরের আহ্বান জানালে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত তাতে সম্মত হন এবং সহযোগিতার ব্যাপারে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশে থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হয়েছে।”
আপনার মতামত লিখুন :