বাজেট সহায়তার অংশ হিসেবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে এবিডি ও জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (জাইকা) প্রতিনিধিদল এবং ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাই-কমিশনারের (ভারপ্রাপ্ত) সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
আজকের সাক্ষাৎকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আজকে যারা এসেছিলেন, তারা তিনজনই আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। আমরা সবার সঙ্গে আলাপ করেছি, এতদিন তাদের যে চলমান সহায়তাগুলো ছিল, সেটা আরও জোরদার করতে বলেছি।”
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “অস্ট্রেলিয়াও আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। কারণ, তারা যেসমস্ত সহায়তা করে সেটা সরাসরি প্রভাব ফেলে। ইউরোপ, কানাডা ও ইউকে ছাড়া অস্ট্রেলিয়া অনেক বড় দেশ। তারা সহযোগিতা করে সেটা তহবিল হিসেবে করে। তারা আঞ্চলিক বাণিজ্য বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা বলেছি, বাংলাদেশের আঞ্চলিক বাণিজ্য খুব সীমিত দেশের সঙ্গে। অস্ট্রেলিয়া যদি এখানে আসে আমরা আসিয়ানের অন্তর্ভুক্ত হতে পারব।”
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আঞ্চলিক বাণিজ্য বেশি প্রয়োজন। সেখানে আমাদের সীমিত। তাই অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ আছে। তারা এনার্জি, এগ্রিকালচাল খাতে বিনিয়োগ করতে চায়। সার্বিকভাবে তিনটা উন্নয়ন সহযোগী দেশের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।”
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “ফান্ড দেওয়ার বিষয়ে তিনজনই (এডিবি, জাইকা ও অস্ট্রেলিয়া) ইতিবাচক। এডিবির বাজেট সাপোর্ট আসবে। ডিসেম্বরের মধ্যে এডিবি ৪০০ মিলিয়ন ডলার দেবে। আইএমএফ ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার দেবে। আমরা আরও ৩ বিলিয়ন ডলার চেয়েছি।”
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “জাইকা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। আমাদের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্টে তাদের অর্থায়ন রয়েছে। ভৌত অবকাঠামো ঋণগুলো আমরা কন্টিনিউ করতে বলেছি, সেটা ওরা কন্টিনিউ করবে। এ ছাড়া, আরও দুইটা বিষয়ে কথা বলেছি। এর একটা হলো দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং টেকনিক্যাল বিষয় রয়েছে।”
বৈদেশিক ঋণের ফ্লো কমে গেছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “বৈদেশিক ঋণের ফ্লো ঠিক ছিল। ফ্লো একেবারে কম আসেনি। কিন্তু এগুলোর ব্যবহার নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে।”































